‘মমতাকে বাংলাদেশিরাও ভরসা করে!’ সৌগত রায়ের বক্তব্যে উত্তাল রাজ্যের রাজনীতি

Saugata Roy on Mamata Banerjee

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে গত দুই মাস ধরে এমনিতেই বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। আর ঠিক সেই আবহে বিতর্ক উসকে দিলেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি স্পষ্ট বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নন, বরং বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ তাঁর উপর ভরসা করেন (Saugata Roy on Mamata Banerjee)। আর এই বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

শুভেন্দুর আক্রমণের পাল্টা জবাব

সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মাত্র চার মাসের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে সৌগত রায় বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, চার মাস পর শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক থাকবেন না। আর এই মন্তব্যে রাজ্যের রাজনীতিতে ফের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: হাওড়া-দিল্লি রুটে ‘কবচ’ শুরু করতে পারল না রেল, পিছল ডেডলাইন

উল্লেখ্য, শুধুমাত্র বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব নয়, বরং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকেও আক্রমণ করেছেন সৌগত। ABP আনন্দকে সৌগত রায় বলেছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী উনি একজন থার্ড ক্লাস মানুষ। তাঁর জন্যই বাংলার মানুষ ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছে না।’ এদিকে এই মন্তব্যগুলির কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির নেতা সজল ঘোষ। তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশে অশান্তি হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্যই বার্তা দেন। আর এমনটাই বিশ্বাস বাংলাদেশীদের মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের একাংশ ভারতের বন্ধু হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামই আলোচনায় নিয়ে আসে। বাংলাদেশ তো দূরের কথা, পাকিস্তানের সংসদ, মিডিয়া, রাজনৈতিক মহলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোচনা হয়।

আরও পড়ুন: কলকাতা সহ ৪৮ শহরে ট্রেনের ক্যাপাসিটি দ্বিগুণ করতে চলেছে রেল

আসলে রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়ার মধ্যে মৃত ভোটার, ডুপ্লিকেট ভোটার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে মূলত এই জলঘোলা। এসআইআর-র শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে রাজ্যের শাসক দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেছেন, খসড়া তালিকা থেকে ৫৪-৫৬ লক্ষ নাম বাদ দেওয়ার পর বলা হচ্ছে যে দেড় কোটি নাম বাদ দিতে হবে। এমনকি তিনি স্পষ্ট জানান, বাংলায় কোনওরকম ডিটেনশন ক্যাম্প হতেও দেওয়া হবে না। তবে তার মধ্যে সৌগত রায়ের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে যে পারদ একধাপ বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Comment