প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিবার্চনের আগে রাজ্য জুড়ে চলছে SIR বিতর্ক। তাই এবার SIR আতঙ্ক প্রতিরোধ করতে এবার ময়দানে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR এর বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় রাজনৈতিক সমাবেশ করে চলেছেন তিনি। বনগাঁ, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহার সফরের পর, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) আজ ১১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাট জনসভা হতে চলেছে। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সভার সকল প্রস্তুতি। আর এই আবহে এবার সেই সভায় ডাক পেলেন না কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ‘বিরোধী’ ৪ সদস্য।
সভায় ডাক পাননি ‘মহুয়া-বিরোধী’ সদস্যরা
রিপোর্ট মোতাবেক, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে একদিনের নদিয়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুপুরে কৃষ্ণনগর পৌঁছে হেলিপ্যাডে প্রথমে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা, পরে যোগ দেবেন তাঁর রাজনৈতিক সভায়। জানা গিয়েছে SIR নিয়ে যেই সভাটি হওয়ার কথা সেটি কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ মাঠে আয়োজিত হবে। এবারেও সেখানে রেকর্ড ভিড়ের আশা করছেন জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু এই সভার মাঝেই শোনা গেল আমন্ত্রণ তালিকা থেকে নাকি বাদ দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ‘বিরোধী’ টিনা ভৌমিক সাহা, সুনীল দাস, সুস্মিতা হীরা এবং কমলা হালসোনাকে। আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই দলের অন্দরে শুরু হতে গেল নানা শোরগোল।
কী বলছেন সুনীল দাস?
আমন্ত্রণ তালিকা থেকে বাদ পড়া নিয়ে সুনীল দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ‘‘জেলা পরিষদের সভাধিপতির বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আগামিকাল সভার জন্য আমাদের কেউ ডাকেননি। হয়তো দলের জেলা সভানেত্রীর ইচ্ছেতেই এমনটা হয়েছে।’’ এই বিষয়ে আমন্ত্রণ তালিকা থেকে বহিষ্কৃত আরও এক সদস্য সুস্মিতা হীরা বলেন, ‘‘আমরা ডাক পাইনি। তার কারণ আছে। এখন এর বেশি আর কিছু বলছি না। আশা করছি, শেষ মুহূর্তে হয়তো ডাক পাব। বাকিটা বৃহস্পতিবার বলব।’’ তবে এই বিষয়ে এখনও শাসকদলের উপরমহল থেকে কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। এখন দেখার পালা আদতে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাট জনসভায় এই চার তৃণমূল সদস্য আমন্ত্রণের ডাক পান কিনা।
আরও পড়ুন: আজই কৃষ্ণনগর থেকে ২০ হাজার কিমি রাস্তার উদ্বোধন করবেন মমতা
জানা গিয়েছে, আজ কৃষ্ণনগরের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা থেকে উন্নয়ন নিয়ে জেলা প্রশাসনকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে আজ পথশ্রী-৪ কর্মসূচির অধীনে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে মোট ৯ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি নতুন রাস্তার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি কেএমডি প্রকল্পের অধীনে আরও ১১ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তা শুরু করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই সব মিলিয়ে আজকের জনসভা রাজনৈতিক শিবিরে এক বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে।