মাত্র ২০ দিনেই ১ লাখ পরিষেবা দিল মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট! শুভেচ্ছা বার্তা মমতার

Mamata Banerjee

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই বঙ্গে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে থেকেই শুরু হয়েছে ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি। তার মধ্যে রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR ইস্যু নিয়ে ক্রমশ চড়ছে বঙ্গ রাজনীতি। এমতাবস্থায় রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ এবং সহয়তামূলক প্রকল্প চালু করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমতাবস্থায় মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট তথা স্বাস্থ্য বন্ধু নিয়ে বড় আপডেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট নিয়ে বড় উদ্যোগ

গত ১১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকায় অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বড় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। চালু করেছিলেন স্বাস্থ্য বন্ধু নামের মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট। এই ইউনিটগুলি রাজ্যের এই বিভিন্ন জেলায় ঘুরে সাধারণ মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে। অনেক ইউনিটেই থাকবে এক্স-রে ও আলট্রাসাউন্ডের মতো আধুনিক সুবিধা। ডাক্তার ও নার্সের পাশাপাশি থাকবে প্রশিক্ষিত অ্যাটেনড্যান্টও। এদিকে সাধারণ মানুষের এই নব উদ্যোগ নিয়ে বেশ খুশি সকলে, প্রথম দিন থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশ সাড়া পাওয়া গিয়েছিল, এমতাবস্থায় এই সরকারি প্রকল্প নিয়ে খুশির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুভেচ্ছা বার্তা মমতার

রিপোর্ট মোতাবেক, আজ অর্থাৎ বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যাণ্ডেলে সকল রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য বন্ধু প্রকল্প নিয়ে বিশেষ বার্তা পোস্ট করেছে। সেই বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, “এইমুহুর্তে রাজ্যের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকায় অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বন্ধু নামের ১১০ টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট চালু করা হয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছে। সবচেয়ে খুশির খবর হল আজ সেই ক্যাম্প ১ লাখ পরিষেবা ক্রস করেছে মাত্র ২০ দিনেই। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা বাড়াতে আরও ১০০ টি ইউনিট খুব শীঘ্রই চালু করা হতে চলেছে।”

আরও পড়ুন: গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র যোগ্যদের বয়সে দিতে হবে ছাড়! বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ আগস্ট রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যজুড়ে ২১০টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এই প্রকল্প চালু হলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় আরও সহজে পৌঁছবে চিকিৎসা পরিষেবা। বিশেষত, দূরবর্তী ও দুর্গম অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুরু করে কিছু বিশেষ চিকিৎসার সুবিধাও পাবেন তাঁদের এলাকাতেই।

Leave a Comment