প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই যেহেতু ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন তাই সেই কথা মাথায় রেখেই এগিয়ে আনা হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha 2026)। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হবে এই পরীক্ষা। কিন্তু এখনও বেশ কয়েকটি স্কুলে বাকি রেজিস্ট্রেশন, তাই এবার নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া যাতে সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতেও কড়া অবস্থান নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)। চালু করা হল ফাইন নেওয়ার পরিষেবা।
রেজিস্ট্রেশন বাকি ৫৩টি স্কুলে
সাধারণত, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশনের কাজ নবম শ্রেণিতেই করা হয়ে থাকে। কিন্তু বেশ কয়েক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এক বছরের বেশি সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও মাধ্যমিকের একাধিক পড়ুয়া রেজিস্ট্রেশন করে না। এবারেও তাই হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, শেষ আপডেট অনুযায়ী প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি পড়ুয়ার এক বছরের বেশি সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন। আর এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে ৫৩টি স্কুলে। তাই এবার উচিত শিক্ষা দিতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল। জানা গিয়েছে এবার স্কুলগুলিকেই পড়ুয়া পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে ফাইন দিতে হবে।
ফাইন নেওয়া হবে ৫০০০ টাকা
আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা। জানা গিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও রেজিস্ট্রেশন করানো হয়নি সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির তরফে। বারবার স্কুলগুলিকে আবেদন এবং সতর্কবার্তা দেওয়ার পরেও একই কাজ হয়ে চলেছে, তাই এবার সেই স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল পর্ষদ। স্কুলগুলোকে এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন না করা থাকলে প্রতিটি পড়ুয়া পিছু ৫০০০ টাকা করে ফাইন দিতে হবে তবে এই টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে নেওয়া যাবে না বলেও স্পষ্ট করে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর তাতেই মাথায় হাত ওই ৫৩ টি স্কুলে।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে একগুচ্ছ গাইডলাইন জারি শিক্ষা সংসদের
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি, প্রতি বছর একাধিক স্কুলের তরফে দেরিতে রেজিস্ট্রেশন করানো হলেও বিনা জরিমানাতেই সংশ্লিষ্ট স্কুলের পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে পর্ষদ। কিন্তু এরপরও নিজেদের ভুল শোধরাইনি তাঁরা। এবারেও একই কাণ্ড ঘটল, নির্দিষ্ট ডেডলাইন দেওয়ার পরেও এখনও ৫৩টি স্কুল সময়মাফিক রেজিস্ট্রেশন করাল না, আর তাই শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তবে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করেননি।