‘মানব পাচার কাণ্ডে ইডির জালে তৃণমূল নেতা, উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা!’ দাবি বিজেপির

West Bengal Sex Racket BJP leader post on Ajmal Siddiqui Viral post

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বড়সড় সেক্স র‍্যাকেট ও মানব পাচারের (West Bengal Sex Racket) পর্দাফাঁস করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, কলকাতা, শিলিগুড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বার, রেস্তোরাঁ এমনকি ড্যান্স পাবের আড়ালে সেক্স র‍্যাকেটে ও নারী পাচার চালানো হচ্ছিল। যেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আজমল সিদ্দিকী নামক এক সন্দেহভাজনের নাম। এবার তাঁকেই তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সম্পাদক হিসেবে দাবি করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বেশ কয়েকটি ছবি সহযোগে একটি পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা।

অমিত মালব্যের বিস্ফোরক পোস্ট

রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বেশ কয়েকটি ছবি সহযোগে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত। ওই পোস্টে রাজ্যের সেক্স র‍্যাকেট কাণ্ডে নাম জড়ানো আজমল সিদ্দিকীকে তৃণমূলের পদাধিকারী হিসেবে দাবি করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অমিত লিখেছেন, “তৃণমূলের আরও এক উল্লেখযোগ্য মুখ উন্মোচিত! তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সম্পাদক আজমল সিদ্দিকী, একটি বিরাট সেক্স র‍্যাকেট পরিচালনা এবং দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে ধরা পড়েছেন।”

এদিন বিজেপি নেতা আরও লেখেন, “ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে প্রচুর নগদ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। সেই সাথে ইডির অভিযানে উঠে এসেছে দুটি বিলাসবহুল গাড়িও। যা মূলত তিনি অবৈধ মদ ব্যবসা এবং নারী পাচারের মতো অপরাধমূলক কাজের মধ্যে দিয়ে লুঠ করেছিলেন। কেউ কি বিশ্বাস করবে যে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা এসব কিছুই জানতেন না? অবশ্যই না। তারা একই নোংরামির মধ্যে গলা পর্যন্ত ডুবে আছেন। এই দলটা বর্তমানে পাচারকারী এবং দুর্বৃত্তদের একটি সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই আইনের হাতে ধরা পড়বেন।”

 

অবশ্যই পড়ুন: টাকা দেওয়ার নামে নেওয়া হচ্ছিল আধার, ব্যাঙ্ক ডিটেইলস! SIR আবহে কলকাতায় চাঞ্চল্য

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কলকাতা এবং শিলিগুড়ির মোট 8 জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ 1.01 কোটি টাকা, কিছু ডিজিটাল ডিভাইস, একটি ল্যান্ড রোভার এবং একটি জাগুয়ার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইডি জানিয়েছে, এই স্কেক্স র‍্যাকেটে আর্থিক দিক থেকে দুর্বল নারীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে যৌন পেশায় নামতে বাধ্য করা হতো। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে অনেককেই পাচার করাও হয়েছে। যেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আজমলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহের তালিকায় রয়েছে বিষ্ণু মুন্দ্রা, জগজিৎ সিং সহ বেশ কয়েকজনের নাম।

Leave a Comment