বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: অপকর্মের কারণে ফের শিরোনামে সিভিক ভলান্টিয়ার। জানা যাচ্ছে, এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের পাশাপাশি তাঁর মাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে কোতোয়ালি থানায় কর্মরত এক সিভিকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ফের ছিঃ ছিঃ পড়ে গিয়েছে নানা মহলে।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই সিভিকের নাম পিন্টু দাস। জানা গিয়েছে, আজ থেকে দু বছর আগে এক গৃহবধুর সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে ওই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।
সূত্রের খবর, পিন্টুর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর স্বামীর সংসার ভেঙে কন্যা সন্তানকে নিয়ে সিভিকের ঘরে উঠে আসেন ওই গৃহবধূ। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরবর্তীতে ওই মহিলা এবং তাঁর মেয়েকে নিয়ে কৃষ্ণনগরের কাঁঠালপোতা এলাকার বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন পিন্টু।
তবে সময় যত গড়ায় ওই মহিলার ওপর শারীরিক অত্যাচার ক্রমশ বাড়াতে থাকেন পিন্টু। জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাস করে গিয়েছেন তিনি। এমনকি, তাঁর মেয়েকেও দীর্ঘদিন যৌন নিগ্রহ করেছেন ওই অভিযুক্ত।
শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর ওই কন্যাকে যৌন নির্যাতনের পর সেইসব কথা থানায় জানাতে বারণ করেন পিন্টু। সে খবর পাঁচ কান করা হলে পরিনাম ভাল হবে না বলেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই সিভিকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা এও জানান যে, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার পিন্টু দাস তাঁর সোনা ও টাকাও লুঠ করেছে।
অবশ্যই পড়ুন: মাত্র ১৫ বছরেই কঙ্কালসার চেহারা! ভেঙে ফেলা হবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন
গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে
News 18-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দীর্ঘদিন শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের খবর চেপে রাখার পর শেষমেষ পুলিশের সামনে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন ওই নির্যাতিতা। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে ওই সিভিককে বেশ কয়েকজন স্থানীয় যুবক মারধর করে। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে এলে, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিভিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে।