মিটবে সঙ্কট, বাংলায় শিক্ষকের বদলি নিয়ে বড় খবর

West Bengal Teachers

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যের এরকম একাধিক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, যেখানে শিক্ষক (West Bengal Teachers) শূন্যতায় ভুগছে পড়ুয়ারা। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে এক জন শিক্ষক সর্বস্ব সামলাচ্ছেন, তো কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে, প্রধান শিক্ষককেই স্কুলের মিড ডে মিল থেকে শুরু করে ক্লাস সামলানো কিংবা ঘণ্টা বাজানো সবই সামলাতে হচ্ছে। একই সমস্যা দেখা দিয়েছে পুরুলিয়াতেও। তাই এবার সেই সমস্যা দূর করার জন্য বদলি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। আরও একজন করে শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে।

স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় মোট ৪১৮টি স্কুলে মাত্র একজন করে শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরেই গোটা দায়িত্ব সামলে চলেছিলেন। তবে এই স্কুলগুলি ছাড়াও এই জেলারই বেশ কয়েকটি স্কুলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষিক-শিক্ষিকা রয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে সংসদ কর্তৃপক্ষ ৩২১টি স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নজর দেয়। প্রথম ধাপে বদলি প্রক্রিয়ায় ৯৭টি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৭৯টি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু ওই বদলি প্রক্রিয়া প্রকাশ্যে আসা মাত্রই এই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে থাকে। এই সেই প্রক্রিয়ার সংশোধনের জন্য শীঘ্রই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তৃতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন বলে জানা গিয়েছে।

নতুন করে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত

সূত্রের খবর, দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তির বদলি প্রসঙ্গে অভিযোগ উঠে আসছে যে, অনেক স্কুলে দেখা যাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের স্কুলে আর তাতেই ক্ষোভের পারদ চড়তে শুরু করে। তাই এই পরিস্থিতিতে চটজলদি ত্রুটি পূরণের কাজ শুরু করে সংসদ কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, ত্রুটি সংশোধনের কাজ শেষ হওয়ার পরই জেলার বাকি ১৪২টি স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নতুন করে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। যার দরুন বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা সংকটের সমস্যা অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হবে। পড়ুয়াদের পড়াশোনার সমস্যাও দূর হবে।

আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাস কর, আমি চুরি করিনি!’, অসুস্থ কুণালকে ফোন করে কান্না পার্থর, কী কথা হল?

উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সহ সভাপতি চন্দন চট্টোপাধ্যায় সংসদ কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য তুলে ধরে বলেন, সংসদের ভুলেই জেলার শিক্ষা পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। তাই সেই ভুল সংশোধন করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আমরা চাই দ্রুত প্রতিটি স্কুলেই শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানো হোক। তবে এক্ষেত্রে অবশ্য জেলার যেসব স্কুলে বাড়তি শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে সেখান থেকেই বদলি করা হোক। দুইদিকেই তাহলে সুবিধা হবে। যদিও এখনও সেই নিয়ে কিছু বলেনি শিক্ষা দপ্তর।

Leave a Comment