মিড ডে মিলের সামগ্রী চুরির অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে! ধুন্ধুমার কাটোয়ায়

Katwa

প্রীতি পোদ্দার, কাটোয়া: শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে এবার বাসনপত্র ও চাল চুরির অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে! টোটোতে করেই নাকি পাছার করেন খোদ শিক্ষিকা। এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে পড়ে কাটোয়ার (Katwa) এই গ্রাম। বাসিন্দারা রীতিমত ঘিরে ধরেন ওই শিক্ষিকাকে। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অভিভাবকদের দাবি দ্রুত তদন্ত হোক, এবং ওই শিক্ষিকা দোষী প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

ঘটনাটি কী?

রিপোর্ট মোতাবেক বর্ধমানের কাটোয়ার ১ নম্বর ব্লকের গাঙ্গুলিডাঙা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে সর্বমোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১৩০ জন। কিন্তু এই কেন্দ্রে একমাত্র প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমারা বেগম শিক্ষার দায়িত্বে নিয়েছেন। ফলস্বরূপ শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে ব্যাপক ধুঁকছে এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। এমতাবস্থায় গতকাল এই শিক্ষাকেন্দ্র থেকে এবার প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামগ্রী, মিড-ডে মিলের চাল চুরি ও বিক্রির অভিযোগ উঠে এল। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এবং শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামের বহু বাসিন্দা।

টোটোয় করে নিয়ে যাওয়া হয় সামগ্রী

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিগত দু’তিন মাস ধরেই নজরে আসছিল যে পড়ুয়াদের ছুটির পরেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমারা বেগম টোটোয় চাপিয়ে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও মিড-ডে মিলের চাল বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকদিন আগেও তাঁকে এ ভাবে জিনিসপত্র বের করে নিতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী হবে সেই ভেবে মুখ বন্ধ রেখেছিলেন অভিভাবকেরা। তবে বিষয়টি যখন বাড়াবাড়ি হয়ে গেল তখনই গ্রাম সহ্যের সীমা ভাঙল, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে শিক্ষিকাকে ঘিরে ধরেন এবং প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।

আরও পড়ুন: U-19 এশিয়া কাপের দল ঘোষণা BCCI-র, বৈভব নন অধিনায়ক হলেন ইনি

তদন্তে নামল পুলিশ

অভিযুক্ত শিক্ষিকা আঞ্জুমারা বেগম গ্রামবাসীদের তোলা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। এবং তিনি জানান, শিক্ষাকেন্দ্র পরিষ্কার রাখার জন্য বেশ কিছু পেটি, বাক্স এবং ভাঙাচোরা সামগ্রী সরানোর কাজ চলছিল, তাই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও এই দিনের ঘটনার খবর প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়। এই ব্যাপারে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও পঙ্কজ কোনার জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আপাতত পড়ুুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে অভিভাবকেরা।

Leave a Comment