মিড-ডে মিলে শুধুই গুড়-মুড়ি পাচ্ছেন পড়ুয়ার, সরকারি অর্থের হিসেব দিতে অপারগ প্রধান শিক্ষক

Mid Day Meal

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সরকারি বরাদ্দ মাসে ১৮০০ টাকা কিন্তু পড়ুয়াদের কপালে মিড ডে মিলে জুটছে শুধুই গুড়মুড়ি! আর সেই টাকার হিসাব চেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ল গ্রামবাসী। এদিকে স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী টাকার হিসাব দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষককে ঘরে তালাবন্দি করে রাখল গ্রামবাসী। হইচই এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ঘটনাস্থলে আসতে বাধ্য হয় পুলিশ। কোনো রকমে বিক্ষোভস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় প্রধান শিক্ষককে।

ঘটনাটি কী?

এই সময়ের রিপোর্ট অনুযায়ী বহুদিন ধরেই স্কুলের মিড ডে মিল নিয়ে বিভিন্ন স্কুল থেকে উঠে আসছে নানারকম অভিযোগ। যার মধ্যে অন্যতম হল বর্ধমানের আউশগ্রাম শোকাডাঙা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত শনিবার অর্থাৎ ১৬ আগস্ট, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করল গ্রামবাসী ও অভিভাবকেরা। অভিযোগ উঠে আসছে দিনের পর দিন পড়ুয়াদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। সকাল ও সন্ধ্যায় দেওয়া হয় গুড়মুড়ি। তাছাড়া আবাসিকদের রোজ একটিই তরকারি দিয়ে ভাত খেতে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় রীতিমত প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে জবাবদিহি করছেন তাঁরা।

সরকারি হিসাব দিতে অপারগ প্রধান শিক্ষক

এদিন বর্ধমানের আউশগ্রাম শোকাডাঙা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ঘরে ঢুকিয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি যখন চরম আকার ধারণ করে তখন খবর পাঠানো হয় আউশগ্রাম থানার পুলিশকে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ এবং কোন রকমে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় প্রধান শিক্ষককে। জানা গিয়েছে, এই স্কুলে ৯৩ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। এবং ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী আবাসিক হিসাবে পড়াশোনা করে এখানে। সেক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের মাথাপিছু সরকারি বরাদ্দ মাসে ১৮০০ টাকা ধরা হয়। কিন্তু মেলে না যথাযথ খাবার।

আরও পড়ুন: মাঝরাতেই পাতা হয় ফাঁদ, মধ্যমগ্রাম বয়েজ স্কুলের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ! আহত ১

দিনের পর দিন বর্ধমানের আউশগ্রাম শোকাডাঙা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এইরূপ নিম্নতম মিড ডে মিল দেওয়ার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। সরকারি বরাদ্দের হিসাব দিতে বলা হয় প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় দাসকে। কিন্তু সেই টাকা খরচের হিসাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। এমনকি এই বিষয়ে কেনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এইরূপ কর্মকাণ্ড দেখে হতবাক সকলে। গোটা ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই নেমেছে কমিটি।

Leave a Comment