প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বেশ কিছুদিন ধরেই ব্লকের ওই বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ সামনে আসছিল। একসপ্তাহ আগে মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়ে বাগনান-১ ব্লকের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শো-কজ করেন বিডিও মানসকুমার গিরি। আর এই আবহেই ফের উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠে এল মিড ডে মিল দুর্নীতির অভিযোগ।
ঘটনাটি কী?
‘এইসময়’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা, উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁদের সামনে প্রকাশিত হয় এক দুর্নীতির ছবি। দেখা যায় সেই দিন বিদ্যালয়ে মোট ৯০ জন পড়ুয়া উপস্থিত থাকলেও পোর্টালে ওই দিনে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৫১৫ দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ ৪২৫ জন বেশি।
এর পরের দিন ফের আধিকারিকরা ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গেলে দেখে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেদিন বিদ্যালয়ে ১৯৩ জন পড়ুয়া উপস্থিত রয়েছে। কিন্তু পোর্টালে সেই সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৫০৮ জন। অর্থাৎ ৩১৫ জন বেশি। এতেই নড়চড়ে বসে ব্লক প্রশাসন।
প্রধান শিক্ষককে শোকজ বিডিও-র
এছাড়াও উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে,পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবার পরিবেশন করার আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সেই খাবার খেয়ে পরীক্ষা করে দেখার যে সরকারি নির্দেশ হয়েছে সেই নির্দেশও এই বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। একেতেই বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে এত বড় কারচুপি তার উপর মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে যে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করার নির্দেশ দিল উলুবেড়িয়া-১ বিডিও।
আরও পড়ুন: এবার দেশ থেকে বিজেপিকে তাড়ানোর ডাক! ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে হুঙ্কার মমতার
কী বললেন বিডিও অফিসার?
এই প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া-১ বিডিও এইচএম রিয়াজুল হক জানিয়েছেন যে, “সরকারি প্রকল্পে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। আসলে বিদ্যালয়ের সম্পর্কে প্রশাসনকে ভুল তথ্য দেওয়া মানে শিশুদের অধিকারের সঙ্গে অন্যায় করা। আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক হলেন পথপ্রদর্শক। তাঁদের তরফে এই অনিয়ম সত্যিই অপ্রত্যাশিত এবং নিন্দনীয়। তাই এই পদক্ষেপ। যদি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়া যায় তাহলে ওঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”