মেট্রো রুটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন না মমতা! নেপথ্যে ৩ বড় কারণ

Mamata Banerjee

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রেল মন্ত্রকের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে আগামী সপ্তাহে কলকাতায় তিনটি নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২২ আগস্ট দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচি থেকে ওই মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেদিন। কিন্তু খবর সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে নাকি উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা।

রেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন না মুখ্যমন্ত্রী

এর আগে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ ঘিরে তৈরি হয়েছিল জোর বিতর্ক। তৃণমূলের দাবি ছিল, শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণ না আসায় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়নি। তবে এবার আগে ভাগে নিমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেপথ্যে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যার মধ্যে মূলত তিনটি কারণ শিরোনামে উঠে এসেছে। কয়েকদিন ধরেই বাংলা ভাষা ও বাংলাভাষী ভারতীয় বাঙালিদের উপর ভিনরাজ্যে ভাষাসন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি তথা কেন্দ্রে বিরুদ্ধে। এবার এর প্রতিবাদে শুরু হয়েছে আন্দোলন। তাই তাঁদের সঙ্গে এক সভাস্থলে থাকতে চান না মুখ্যমন্ত্রী।

মমতার সঙ্গে অপমানজনক আচরণ!

এর আগে এক কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে বিজেপি সমর্থকরা সরকারি অনুষ্ঠানেই পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা, অপমানজনক আচরণ করেছিলেন। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি রেলের এই আগাম প্রকল্পগুলি সবই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা ছিল। এতদিন ধরে ধীর গতিতে কাজ করে ইচ্ছে করে ভোটের আগে উদ্বোধন করে নিজেদের নাম লেখাতে চাইছে বিজেপি। যা বিরোধী পক্ষ হিসেবে শাসকদলের কাছে নীতিবিরুদ্ধ। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: চিকিৎসায় গাফিলতিতে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ার মৃত্যু, তুমুল বিক্ষোভ আসানসোল জেলা হাসপাতালে

প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে সকলেই নিজেদের আখের গুছিয়ে নেওয়ার জন্য এখন থেকেই ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন। শাসকদলের তরফে একদিকে যেমন একের পর এক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য ঠিক তেমনই আবার বিরোধী দল বিজেপিও উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল সরকারের উপর দোষের ভার চাপাতে, যার জেরে নির্বাচনের আগে এখনই দুই দলের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না একই মঞ্চে একই সভায় উপস্থিত হতে, আর তাতেই এই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Comment