‘মেসির আশেপাশে অরূপ বিশ্বাসের ৩০০ জন ছিলেন!’ একের পর এক বোমা ফাটালেন শতদ্রু

Messi Event In Kolkata

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফুটবল তারকা লিওনেল মেসিকে ঘিরে আয়োজিত যুবভারতী স্টেডিয়ামের ইভেন্টে (Messi Event In Kolkata) চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার এক সপ্তাহ অতিক্রম হয়েছে, কিন্তু এখনও এই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সঠিক কারণ স্পষ্ট নয়। তাই এবার ঘটনায় আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আসলে কলকাতায় মেসি ইভেন্টে প্রাথমিক অনুসন্ধানে আর্থিক অনিয়মের ছায়া দেখতে পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে আয়োজক শতদ্রু দত্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ, এবার তাঁকে জেরা করেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মেসি ইভেন্টে ১০০ কোটি টাকা খরচ

পুলিশি জেরার শতদ্রু দত্ত জানিয়েছেন যে ‘গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম ইন্ডিয়া ট্যুর’-এর জন্য মেসির পারিশ্রমিকই ছিল নাকি প্রায় ৮৯ কোটি টাকা। এবং কর বাবদ ১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ভারত সরকারকে। সব মিলিয়ে ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ টাকা দিয়েছিল স্পনসররা এবং বাকি ৩০ শতাংশ এসেছে টিকিট বিক্রি করে। শুধু তাই নয় জেরার মুখে পড়ে তিনি নিজে স্বীকার করেছিলেন যে প্রথমে দেড়শো জনের গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড দেওয়া হলেও পরে বেশ কিছু প্রভাবশালীদের চাপে এই সংখ্যাটাকে তিনগুণ বাড়াতে হয়েছিল। এমতাবস্থায় শতদ্রুর মুখে উঠে এল প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নাম।

উঠে এল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের প্রসঙ্গ

শতদ্রু দত্ত অভিযোগ করেন যে গত শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামের মাঠে ইভেন্ট পরিচালনার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর সংস্থার প্রায় ১৫০ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আমন্ত্রিত প্রায় ৩০০ জন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। শুধু তাই নয়, শতদ্রুর বক্তব্য অনুযায়ী, ওই আমন্ত্রিতদের অধিকাংশই মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। আর তাতেই ভিড়ের পরিমাণ অনেকটাই বেশি ছিল। মাঠে মেসি প্রবেশ করার পর থেকেই গোটা অনুষ্ঠান পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোয়নি। তার উপর পিঠে হাত দেওয়া বা জড়িয়ে ধরা একেবারেই পছন্দ করেননি মেসি। বিদেশ থেকে আসা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও হাফ হাগ করা এবং অতিরিক্ত সেলফি তোলার চেষ্টা থেকেই মেসি ও তাঁর সঙ্গীরা বিরক্ত হন।

আরও পড়ুন: আবার নারীঘটিত কেচ্ছা CPIM-এ! মান বাঁচাতে তরুণ নেতাকে বহিষ্কার করলেন সেলিম

প্রসঙ্গত, শতদ্রু দত্ত অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছিলেন, এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া তিনি দেননি। তিনি ইস্তফা দেওয়ার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং তদন্ত চলাকালীন তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। এদিকে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই অর্থ যেন আপাতত আয়োজক সংস্থাকে না দেওয়া হয়। কারণ যুবভারতীতে সেদিনের বিশৃঙ্খলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেই টাকা ওই অর্থ থেকেই আদায় করার দাবি উঠেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে ।

Leave a Comment