প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাতে বাকি মাত্র আর কয়েক মাস। তারপরেই বছর ঘুরতেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে চলেছে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই নিজেদের অস্তিত্ব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যস্ততা লেগে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির। আগামী শুক্রবার এদিকে বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এমতাবস্থায় এবার নয়া চাল চাললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ লক্ষের পরে এবার আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাসের টাকা নিয়ে দিলেন এক নয়া আপডেট।
আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকেও বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি!
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ এর ডিসেম্বর থেকে দেওয়া শুরু হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী সেই টাকা দিয়ে ঘরের লিনটন পর্যন্ত বানানোর কথা। এই ধাপে বাড়ি তৈরির কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয়, তার জন্য নিয়মিত তদারকিও করেছিল পঞ্চায়েত দপ্তর।
এক্ষেত্রে সরকারের দাবি, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে যে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল রাজ্য। সরকারের দাবি, সেই কাজ হয়েছে। পরবর্তী ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকেও বাড়ি তৈরির টাকা ডিসেম্বর থেকে দিতে চায় রাজ্য।
আবাসের বরাদ্দ নিয়ে বড় আপডেট মমতার
এছাড়াও রাজ্যের জারি করা ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ অনুযায়ী, লিনটন পর্যন্ত কাজ এগোলে তবেই একজন উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। প্রায় আট লক্ষ উপভোক্তা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেই কাজ করেছে। আর এই আবহে আগে ১২ লক্ষের পরে যে আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার সেই প্রকল্পের কাজের বরাদ্দ শেষ হতে চলেছে আগামী বছর মে মাসে। খোঁদ এই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: গর্জে উঠলেন মমতা, সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে বাংলাদেশকে বার্তা ভারতেরও
‘আনন্দবাজার’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার আবাস যোজনা নিয়ে ঘোষণা করেন যে সরকার আগে ১২ লক্ষ গ্রাহকের আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি তৈরির টাকা প্রদান করেছিল। এবার যে নতুন ১৬ লক্ষের বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার বরাদ্দ শেষ হবে আগামী বছর মে মাসে। এদিন তিনি বলেছেন, “২৮ লক্ষ বাড়ি করে দিচ্ছি। আগে প্রায় ৪৭ লক্ষের মতো করা হয়েছে। যে টুকু বাকি থাকবে, আগামী দিনে সবটাই করে দেব।”
রাজনৈতিক চাল শাসকদলের
এছাড়াও নবান্নে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান যে, “কেন্দ্র না দিলেও, আমরা বাংলার বাড়ির টাকা ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে দিয়েছি। খুব শীঘ্রই ১৬ লক্ষও পেয়ে যাবেন। ইতিমধ্যেই একটা দফা ডিসেম্বরে দেওয়া হচ্ছে। আর একটা দফা দেওয়া হবে আগামী বছর মে মাসে।”
আর এই ঘোষণার মাধ্যমেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বাংলার এই আবাস যোজনাই এখন শাসকদলের বিধানসভা নির্বাচনের তুরুপের তাস। কারণ তার মাস দু’য়েকের মধ্যে ভোট ঘোষণার সম্ভাবনা। ফলে এর গুরুত্ব অপরিসীম সরকারের কাছে।