বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: কলকাতা লিগের ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে বুক ভরিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই মতোই পরের আসরে বেহালা এসএসকেও গুঁড়িয়ে দেয় মশাল দল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রবির ম্যাচে বিনো জর্জের লাল হলুদের ছোটানো ঘোড়াকে আটকে দিল পুলিশ এসি। যে দল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে 3-2 ব্যবধানে জয় তুলেছিল সেদিন, আজ সেই দলই পুলিশের কাছে 0-2 গোলে কার্যত নাক কাটালো বলা যায়।
পুলিশের পারফরমেন্সই হারালো ইস্টবেঙ্গলকে
কলকাতা লিগে খারাপ ছন্দে নেই ইস্টবেঙ্গল। বিগত ম্যাচগুলিতে দাপট দেখিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেও মাঠ দখল করেছিল বিনো জর্জের ছেলেরা। প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়ে জোরালো আক্রমণও শানিয়েছিল মশাল দল। তবে আটকে দিল পুলিশের শক্তপোক্ত পারফরমেন্স।
আসলে কলকাতা লিগে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে পুলিশ এসি। চলতি বছর মোহনবাগানকেও পরাস্ত করেছে তারা। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, মোহনবাগানের পরাজয়ের সেই ম্যাচে একমাত্র গোলদাতা হয়েছিলেন পুলিশের মহম্মদ আমিন নঈম। আজ প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচেওদ লের গতি বাড়িয়েছিলেন তিনিই।
এদিন 11 মিনিটের মাথায় পেনাল্টি আদায় করে ইস্টবেঙ্গলের জাল গোলে ভরায় নঈম। এগিয়ে যায় পুলিশ এসি। তবে প্রতিপক্ষের কাছে গোল খেয়ে, তা শোধ দিতে একেবারে উঠে পড়ে লেগেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে লাল হলুদের ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিয়েছিল প্রতিপক্ষ!
অবশ্যই পড়ুন: কর্মী ছাঁটাই করতে পারবে না সংস্থা! এক চাকরিহারার মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
প্রথমার্ধে 1 গোল খেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে তা পূরণ করতে চাওয়া ইস্টবেঙ্গল প্রতিপক্ষের কাছে একেবারে আটকে গিয়েছিল বলা যায়। তবে তার মধ্যেও রোগ কাটিয়ে বারংবার পুলিশকে চেপে ধরার চেষ্টা করছিল লাল হলুদের ছেলেরা। তবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই তৈরি করেছিলেন পুলিশের প্লেয়াররা।
রবিবাসরীয় ম্যাচে, পাল্টা ইস্টবেঙ্গলকে চাপে রেখে শেষ পর্যন্ত 75 মিনিটের মাথায় গোল করে ব্যবধান বাড়ান মৃন্ময় মহাপাত্র। এরপর আর এক গোলও শোধ দিতে পারেনি মশাল ব্রিগেড। আর তাতেই খাতায় শূন্য নিয়েই আপাতত সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে কোচ বিনো জর্জকে।