‘যত দেখাবি, তত আসব’, ডানকুনিতে কালো পতাকা দেখানোর পাল্টা দিলেন শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কোচবিহার, বারাসতের পর এবার ফের সংঘর্ষ ছড়াল হুগলির ডানকুনিতে! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সিঙ্গুরে কর্মসূচি ঘিরে ফের উত্তেজনা ছড়াল তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে৷ জানা গিয়েছে, গতকাল সিঙ্গুরে আসার পথে ডানকুনিতে শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখাল তৃণমূল কর্মীরা। আর তাতেই সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকে শুভেন্দু পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যত দেখাবি তত আসব ৷”

ফের কালো পতাকা দেখানো হল শুভেন্দুকে!

স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ বুধবার সিঙ্গুরে যাচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আসলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, সিঙ্গুরে রতনপুর মোড়ে আলু চাষিদের প্রতি রাজ্য সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে বিজেপি কৃষক মোর্চার ডাকে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়। সেখানেই প্রধান বক্তা ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই সেই আন্দোলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই হল বিপত্তি। টোলপ্লাজার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন দশ-পনেরোজন যুবক। তাঁদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল কালো কাপড়। শুভেন্দুর কনভয় টোল প্লাজার কাছে আসতেই কালো পতাকা দেখাতে থাকেন তাঁরা। জোরে-জোরে স্লোগান দিতে থাকেন ‘জয় বাংলা’। যদিও সেই সময় গাড়ি না থামিয়ে সোজা এগিয়ে গিয়েছিল কনভয়।

পাল্টা হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

ডানকুনিতে তৃণমূলের কালো পতাকা দেখানোর বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি। শাসকদলের এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সিঙ্গুর মঞ্চ থেকেই পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আসার সময় ডানকুনি টোল প্লাজায় কিছু কর্মচারীকে দিয়ে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে ৷ আমি বললাম, তোদের বাপ যাচ্ছে দেখ। যত দেখাবি, তত আসব। ফেরার সময়ে গাড়ি আস্তে করব, যদি বাপের বেটা হয়ে থাকিস, তাহলে সামনে আসবি। কোচবিহারে করেছিল পরের দিন বারাসতে সাইজ করেছে বিজেপি। যত করবে তত বেশি করে লড়াই করব। এ লড়াই সাধারণ মানুষের লড়াই, এ লড়াই জিততেই হবে। বাংলাকে বাঁচাতে হবে।”

কী বলছে শাসকদল?

শুভেন্দু অধিকারীকে কালো পতাকা দেখানোর প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা এক হাত নেন শ্রীরামপুর হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের INTTUC-র সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আলু চাষীদের পাশে সবসময় রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী বাংলা বিরোধী, নাটক করতে এসেছে ৷ বাঙালিদের বঞ্চনা করছে। সেই জন্য তৃণমূলের কর্মীরা, কালো পতাকা দেখায় ও জয় বাংলা স্লোগান দেয়। উনি হেনস্তা করার জন্য পশ্চিমবাংলার রাজনীতি করছে। কেউ যদি জয় বাংলা স্লোগান শুনে বিরক্ত হয়ে চিৎকার করে তাহলে তাকে তো এরকমই করবে।”

আরও পড়ুন: পন্থকে দিল্লি ডেকে চাপ! ৪ আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সময়সীমা বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল জেলা সদর বারাসতে। সেখানকার চাঁপাডালি মোড়ে বিজেপির ‘কন‍্যা সুরক্ষা যাত্রা’-র মিছিল পৌঁছতেই চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। জয় শ্রীরাম স্লোগানের পাল্টা তৃণমূল কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিতে শুরু করেন। দু’পক্ষের তীব্র বচসা এবং হাতাহাতির পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয় বারাসত জেলা পুলিশকে।

Leave a Comment