যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে জুতোর দোকান! পঞ্চায়েত সমিতি ভাড়া নেয়, দাবি ব্যবসায়ীর

Shoe Shop At Passengers Waiting Room

প্রীতি পোদ্দার, পিংলা: এ কী কাণ্ড! সরকার নির্মিত যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে নির্মাণ করা হয়েছে জুতোর দোকান Shoe (Shop At Passengers Waiting Room)! জুতোর দোকানদারের দাবি, ভাড়া দিয়েই ব্যবসা করছেন তিনি। তার জন্য বছরে খরচ করছেন ৬০০০ টাকা। এমন ঘটনাই ঘটতে দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায়। যা দেখে চোখ ছানাবড়া এলাকাবাসীর। এদিকে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে জুতোর দোকান খোলা নিয়ে বেড়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

যাত্রী প্রতীক্ষালয় ভাড়া দিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দশেক আগে পিংলার বাড়গোকুলের রাস্তার ধারে স্থানীয়দের সুবিধার খাতিরে খড়গপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে উল্টো ছবি দেখা যায়। সেখানে পলস্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা লাল্টু হেমব্রম একটি জুতোর দোকান খুলে বসেছেন। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকা জুড়ে। অবাক করা বিষয় হল ওই ব্যবসায়ীকে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ভাড়া দিয়েছে খোদ পঞ্চায়েত সমিতিই। আর সেই কারণে প্রতি মাসে ভাড়ার বিনিময়ে ওই যুবকের কাছ থেকে গুনে গুণে ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। এমনই দাবি করলেন দোকানদার।

কী বলছেন দোকানদার?

সরকারি টাকায় তৈরি প্রতীক্ষালয়ে দোকান ভাড়া দেওয়া নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা বিধানসভার পলস্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শোরগোল পরে যেতেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়েরা। তবে দোকানদার লাল্টু হেমব্রম জানান, “ যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি যখন তৈরি হয় তখন একটা ঘর ব্যবসার জন্য দেওয়া হয় ৷ আমি টেন্ডারের মাধ্যমে দোকান করার জন্য জায়গাটা পেয়েছি৷ প্রতীক্ষালয়টি এখনও ব্যবহারযোগ্য হয়নি। মাসে ৫০০ অর্থাৎ বছরে ৬ হাজার টাকা দিই আমি পঞ্চায়েত সমিতিকে। তার রসিদও দেওয়া হয়েছে।’’ যদিও এই বিষয়টি খড়গপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে গোটা বিষয়টি।

আরও পড়ুন: আসল ভেবে নকল ডিম খাচ্ছেন না তো? এভাবে যাচাই করুন বাড়িতেই

খড়গপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে কেউ বসেন না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। যাতে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, সে জন্য সামান্য টাকায় এক জনকে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি দেওয়া হয়েছে।’’ এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘‘যে দিন যাত্রীরা আবেদন করবেন, তার সাত দিনের মধ্যে দোকান সরিয়ে দেব। তখন যাত্রীরা প্রতীক্ষালয়টি ব্যবহার করতে পারবেন।’’ এই প্রসঙ্গে পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “আমার কাছে এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। যদি আসে পুলিশ দিয়ে ওই দোকান তুলে দেব। এই ভাবে প্রতীক্ষালয় ভাড়ায় দেওয়া যায় না।”

Leave a Comment