যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর মৃতদেহ! ঘনাচ্ছে রহস্য

Jadavpur University

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা:  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেট সংলগ্ন পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর দেহ। এমনকি পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।

কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা ক্লাব গতকাল রাতে গৌড় দাস বাউল এবং তাঁর দলকে নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। রাত ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ কয়েকজন পড়ুয়ার নজরে আসে যে, স্টুডেন্ট ইউনিয়ন রুমের পাশে পুকুরে কেউ ভেসে রয়েছে। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করলে দেখা যায় যে তিনি অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছেন।  পরে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

মৃত্যু ঘিরে রহস্য

সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়ার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কীভাবে তিনি ওই পুকুরে পড়লেন তা এখনো অস্পষ্ট। উপস্থিত পড়ুয়াদের দাবি, মাইক ও গান বাজনার জেরে চারিদিকে এতটাই শব্দ হচ্ছিল যে কেউ সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও তা কান অবধি পৌঁছয়নি।

এদিকে ঘটনার পরপরই সরব হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁদের দাবি, এত রাত অবধি অনুষ্ঠানের অনুমতি কেন দেওয়া হয়েছিল? এমনকি তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থায়ী পুলিশ পোস্টের দাবি তুলছে। সংগঠনের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দু’বছর আগে ‘স্বপ্ন’র মৃত্যু হয়েছে। আজ আবার অনামিকা। এই মৃত্যু কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী উপাচার্যের অভাবে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত কোনও স্থায়ী উপাচার্য নই।

আরও পড়ুনঃ প্রকাশ্যে এল বকেয়া DA মামলার অর্ডার কপি, বড় খবর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীদের জন্য

এমনকি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সুদীপ রাহা এক্স হ্যান্ডেলে তদন্তের দাবি করে জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভির প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতটা, তা আবারো হাতেনাতে টের পেল সবাই। এদিকে এফআইআর-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেছেন, আরজি করে সিসিটিভি ছিল। তাহলে অভয়াকে কেন ওইভাবে মরতে হল? কলকাতার ল কলেজেও বামপন্থীরা নেই। তাহলে কেন এরকম ঘটনা ঘটল? এখন সকলের নজর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে।

Leave a Comment