প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভাঙচুরের (Vandalism At Yuba Bharati Krirangan) ঘটনায় নয়া মোড়! এবার আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে। স্টেডিয়াম ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটল বিধাননগর কমিশনারেট। অন্যদিকে আজ অর্থাৎ শুক্রবার মেসির অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তর বাড়িতে তদন্তের জন্য হানা দিল পুলিশ।
স্টেডিয়াম ভাঙচুরের তদন্তে নামল পুলিশ
গত শনিবার আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকা লিওনেল মেসিকে এক ঝলক দেখার আনন্দে সল্টলেক স্টেডিয়াম ওরফে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ৬৫ হাজার দর্শক। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট করা হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসিকে মাঠে না দেখে দর্শকদের একাংশের ক্ষোভ চরমে ওঠে। আর সেই ক্ষোভের বসে স্টেডিয়াম চত্বরে শুরু হয়েছিল ব্যাপক ভাঙচুর। চেয়ার ভাঙা, সোফা সেটে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ফুলের টব, কার্পেট এমনকি গোলপোস্টের নেট খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। ভাইরাল হয় একাধিক ভিডিয়ো। আর সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ একাধিক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে। এবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ ।
গ্রেপ্তার আরও ৩
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম রাজু দাস, সৌম্যদীপ দাস, তন্ময় দে। লেকটাউন এবং নাগেরবাজার থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আজ বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে চাইবে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে যুবভারতীতে ভাঙচুরের অনেক তথ্য মিলবে বলেই আশাবাদী পুলিশ। এখনও পর্যন্ত যুবভারতী ভাঙচুরে মোট গ্রেপ্তারির সংখ্যা পৌঁছল ৯-এ। বিধাননগর পুলিশের পাশাপাশি যুবভারতীতে তাণ্ডব নিয়ে তদন্ত করছে সিটও। যদিও সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি এখনও পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে KKR-র মালিক! বিক্রি হয়ে যাবে শাহরুখের দল?
অন্যদিকে স্টেডিয়ামে মেসি ইভেন্ট নিয়েও একাধিক সন্দেহ উঠে আসছে। তদন্তকারীদের আশঙ্কা মেসির শোয়ে কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে, তাই আজ, শুক্রবার, মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তর রিষড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার মহিলা পুলিশ-সহ পাঁচজন আধিকারিক। আর তাঁর বাড়ি যেতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। তিনতলা বাড়িতে সুইমিং পুল, ফুটবল মাঠ আছে। কিন্তু এদিন একমাত্র পরিচারিকা ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। তবে শেষ আপডেট অনুযায়ী এখনও সন্দেহজনক কিছুই তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়নি।