সৌভিক মুখার্জী, ক্যানিং: ফের একবার স্টেডিয়ামে (Canning Stadium) বিশৃঙ্খলা। ক্যানিং পশ্চিম এমএলএ কাপ ফুটবল ফাইনাল খেলায় রবিবার সন্ধ্যাবেলা সৃষ্টি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। দর্শকদের হুড়োহুড়িতে আহত হল সাতজন, যাদের মধ্যে একাধিক শিশু রয়েছে। আর এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কার্যত যুবভারতী কান্ড আরও একবার দেখতে পেল বাংলা।
কীভাবে তৈরি হল এই বিশৃঙ্খলা?
পুলিশ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ক্যানিং স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা মোটামুটি ৭৫০০। তবে অভিযোগ উঠছে, সেই সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। এমনকি জন প্রতি ২০ টাকা দরে টিকিট বিক্রির ফলে সাধারণ মানুষের হইহুল্লোড় পড়ে স্টেডিয়ামে। আর খেলা শুরুর আগে দর্শকদের চাপ এতটাই বাড়ে যে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা, একাধিক গেট ভাঙচুর, ধাক্কাধাক্কি এবং হুড়োহুড়ির মতো ঘটনা ঘটে। এর জেরেই পদপিষ্ট হয়ে জখম হয় শিশুরা।
আরও পড়ুন: বাদ দিতে হবে ভারতীয় শ্রমিকদের, বাংলাদেশে হাদি খুনে একাধিক দাবি ইনকিলাব মঞ্চের
আসলে ফাইনাল ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। আর সেখানে জনপ্রিয় টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা এবং ঐন্দ্রিলা সেন উপস্থিত ছিলেন। তাদের একঝলক দেখার জন্যই এবং ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করতে বহু মানুষ একসঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করে স্টেডিয়ামে। সেই কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যায়। পুলিশ আনিয়েছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে কারোর অবস্থা আপাতত গুরুতর নয়। যদিও শিশুদের আহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ কাজ করছে আমজনতার মধ্যে।
আরও পড়ুন: ২০০০ যাত্রীবোঝাই ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড! জীবন্তদগ্ধ এক যাত্রী, অন্ধপ্রদেশে বড়সড় রেল দুর্ঘটনা
এই বিষয়ে ক্যানিং পশ্চিম তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেছেন, ফুটবলের প্রতি মানুষের আবেগ এমনিতেই বেশি। ফাইনাল ম্যাচ উপলক্ষে মোটামুটি ৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষ স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিল। আর স্টেডিয়ামে ঢোকার জায়গা সীমিত থাকার কারণে সকলকে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ধাকধাক্কিতেই কয়েকজন পড়ে যায়, আর তাতেই জখম হওয়ার ঘটনা। তবে ইতিমধ্যেই ক্যানিং থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আর কীভাবে আসন সংখ্যার তুলনায় বেশি সংখ্যক দর্শক মাঠে প্রবেশ করার সুযোগ পেল, নিরাপত্তায় কোথায় গাফিলতি ছিল, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।