যেই কারণে রাজন্যার বিজেপি যোগের জল্পনা ছড়াল

Rajanya Haldar

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন আর সে নির্বাচনকে সামনে রেখেই একের পর এক কর্মসূচি এবং ভোট প্রচারের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। এদিকেই ভোটযুদ্ধের আবহেই উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই নাকি এবার বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন রাজন্যা-প্রান্তিক (Rajanya Haldar)। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক চর্চা।

বিজেপিতে যোগ দেবেন রাজন্যা!

উল্লেখ্য, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে প্রতিবাদী বক্তৃতা দিতে রীতিমত নজর কেড়েছিলেন রাজন্যা হালদার। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে নেতৃত্ববাদের নতুন মুখ হয়ে উঠেছিলেন রাজন্যা। এরপরই শাসকদলে তাঁর গুরুত্ব ধীরে ধীরে বাড়ছিল। কিন্তু গত বছর আরজি কর ঘটনার পর বড় ছন্দপতন হয়। নিজের দলের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন-সংস্কৃতি গর্জে ওঠায় রীতিমত তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয় রাজন্যা এবং প্রান্তিক চক্রবর্তী দুজনকেই। এরপর যোগাযোগও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, কিন্তু তারপরেই চলতি বছর দুর্গাপুজোয় এক ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা যায়। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজোয় দেখা যায় সাসপেন্ডেড এই দুই মুখকে, তখনই জল্পনা ওঠে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার। তবে সেই সময় অপ্রাসঙ্গিক বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন দু’জনেই। এমতাবস্থায় রাজন্যার একটি পোস্ট ঘিরে উঠল গুজব।

চাঞ্চল্যকর পোস্ট রাজন্যার

সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার, প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার, নিজের সমাজমাধ্যমেই একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন। যেখানে স্বামী বিবেকানন্দের ছবিতে মালা চড়িয়ে একটি ছবি ছিল। আর সেই ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাংলা রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। গণতন্ত্র ধার চাই।’ শুধু তাই নয়, ক্যাপশনের নীচে আবার লিখেছেন ‘লেটস চেঞ্জ’। এরপরই রাজনৈতিক শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে একের পর এক চর্চা। অনেকেই বলছেন আজই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন প্রান্তিক এবং রাজন্যা। এছাড়াও তাঁদের সঙ্গেই নাকি গেরুয়া শিবিরে যোগদানের সম্ভবনা রয়েছে আরও কয়েক জন ছাত্রনেতার। তবে এখনো এই বিষয় নিয়ে কোনো যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ২০১৩-র কেদারনাথের বন্যায় মৃত! এক চুরির মামলায় ১২ বছর পর ঘরে ফিরল শিবম

প্রসঙ্গত, প্রান্তিক চক্রবর্তী এবং রাজন্যা হালদার তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই নিজেদের একাধিক কার্যকলাপে বারেবারে বুঝিয়েছেন, আর শাসক দলের সঙ্গে থাকছেন না। তাই হয়ত এবার ফুল বদল করে দল বদল করতে চাইছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে প্রান্তিক চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি বা রাজন্যা কেউই দল পরিবর্তন কথায় বিশ্বাসী নই। বরং আমি বিশ্বাস করি, ভাবনার পরিবর্তনে। আমি শুধুমাত্র সময়ের চাহিদাটা বুঝি। রাজনীতি সব সময়ই সম্ভবনাময়। সময় উত্তর দেবে।” একই সুর শোনা যায় রাজন্যার গলায়।

Leave a Comment