প্রীতি পোদ্দার, ঘোলা: সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই SIR এর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। কিন্তু এই প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক অন্দরে একাধিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল সমানে বিজেপিকে দোষারোপ করে চলেছে। পাল্টা হুঙ্কার ছাড়ছে বিজেপি। আর এই দল বিতর্কের মধ্যে গরম হাওয়া বইছে রাজ্য রাজনীতিতে। এমতাবস্থায় ঘোলায় (Ghola) সিপিএম কার্যালয় ভাঙার অভিযোগ উঠে এসেছে। রাতের অন্ধকারে নাকি তৃণমূল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলে কার্যালয়!
বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল সিপিআইএম এর কার্যালয়
রিপোর্ট মোতাবেক, উত্তর ২৪ পরগণার ঘোলা বিলকান্দা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহিষপোতা এলাকায় সিপিএমের একটি কার্যালয় রয়েছে। কিন্তু সেই কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরেই ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেজন্য ওই কার্যালয়টি বন্ধ করেই রাখা হয়েছে। কিন্তু গতকাল রাতে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় কার্যালয়টি। আর তাতেই বাঁধে হুলুস্থুল কাণ্ড। আজ, সকালে ওই কার্যালয়টি ভেঙে ফেলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঘোলা থানার পুলিশ।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, সকলেই সিপিআইএম-এর একাংশ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে লাল বাহিনী অভিযোগ তোলে সবুজ বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরাই রাতের অন্ধকারে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের পাল্টা দাবি, দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সিপিএমের ওই কার্যালয়টি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। সিপিএমের তরফ থেকে সেটি সারানোও হয়নি। আর সেটি গতকাল রাতে আচমকা ভেঙে পড়ায় এখন তৃণমূলের উপর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডাক দিয়ে নিজেই নেই মমতা বালা, ঠাকুরনগরে আমরণ অনশনে মতুয়াদের একাংশ
প্রসঙ্গত, একসময় বুলডোজার নিয়ে অবৈধ উপায়ে নির্মিত বাড়িঘর ভেঙে ফেলার ছবি দেখা গিয়েছিল। খবরের পাতায় বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে যোগী আদিত্যনাথ ও উত্তরপ্রদেশের নাম। তবে এবার বুলডোজার গল্প এক এক উঠে আস্তে শুরু করেছে বাংলায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।