যৌনপল্লীতেও বাংলাদেশিদের থাবা! দুর্গাপুরে পাকড়াও ২ মহিলা সহ দালাল, উদ্ধার ভুয়ো নথি

Durgapur

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিগত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ-বাগদা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। জাল পাসপোর্ট আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড নিয়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে এদের দাপট। এমতাবস্থায় গতকাল, শুক্রবার দুর্গাপুরের এক নিষিদ্ধপল্লি থেকে ধরা পরে দুই বাংলাদেশী যৌনকর্মী! তদন্তের জেরে জানা যায় বিগত কয়েক বছর ধরেই নাকি তারা পশ্চিমবঙ্গে এই কাজে যুক্ত।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, ৮ আগস্ট, দুর্গাপুরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাদারোডের দুর্বার সমিতিতে বোর্ড বসে। আর তাতে সকলের বৈধ নথি জমা দিতে বলা হয়। সেখানে ওই দুই মহিলার আধার কার্ড দেখে দুর্বার সমিতির বোর্ড সদস্যদের সন্দেহ হয়। কৌতূহলের বসে ওই দুই মহিলাকে জেরা করলে তারা স্বীকার করে যে এই দুই মহিলা আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। এছাড়াও তারা জানান এক দালাল তাদের যৌনবৃত্তির পেশায় নিয়ে আসার জন্য একজনকে নদীয়ার চাকদহের বাসিন্দা তিশা শেখ এবং অপরজনকে হুগলির রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা কোয়েল মিস্ত্রি নামে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে দুর্বার সমিতি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয়।

পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় ছিলেন তারা

দুর্গাপুর পুলিশ খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আসে এবং ওই দুই বাংলাদেশী যৌনকর্মীকে জেরা করে। তখনই তারা বলেন যে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে তারা বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুরের এই নিষিদ্ধপল্লীতে কাজ করে আসছে। কিন্তু এই দীর্ঘ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল না। শেষে দুই বাংলাদেশী যৌনকর্মী এবং একজন দালালকে পুলিশ আটক করে। তবে শুধু দুর্গাপুর নয় এর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যৌনবৃত্তির কাজ করে এসেছেন এই দুই মহিলা।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের বুথেই ভুয়ো ভোটার! এক ব্যক্তির দুই স্ত্রীয়ের নাম মিলতেই শোরগোল

নির্মল মিশ্র নামে দুর্বার সমিতির এক সদস্য গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, “নিয়ম অনুযায়ী এই পঞ্চায়েতে স্ব-শাসিত বোর্ডের মাধ্যমে নারী পাচার এবং শিশুশ্রম আটকাতে নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই ভিত্তিতে আজ বোর্ড বসে সমিতিতে। এরপর মহিলাদের নথি সমীক্ষা করতে গিয়েই বোঝা যায় সে বাংলাদেশী। তখনই পরিস্থিতি বুঝে পুলিশকে জানানো হয়।” তদন্তের শেষ আপডেট অনুযায়ী জানা গিয়েছে আপাতত এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তা খোঁজ নিচ্ছে দুর্গাপুর পুলিশ।

Leave a Comment