যৌন হেনস্তার অভিযোগ, বাংলা থেকে সরানো হচ্ছে কার্তিক মহারাজকে! গন্তব্য কোথায়?

Kartik Maharaj

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কিছুদিন আগে ধর্ষণ, জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠে এসেছিল পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে। এখনও তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তাই এককথায় বাংলায় যে তাঁর খুব একটা মান বাড়ছে না তা বেশ বুঝতে পারছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ। এমতাবস্থায় এবার ঝাড়খণ্ডে চলে যেতে চলেছে কার্তিক মহারাজ।

যৌন নির্যাতনের অভিযোগ কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে

চলতি বছর, গত ২৮ জুন কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে নবগ্রাম থানায় অভিযোগ করেন এক মহিলা। মহারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণীর দাবি ছিল, ২০১৩ সালে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্তিক মহারাজ তাঁকে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানা এলাকার চাণক্য এলাকায় এক আশ্রমের প্রাইমারি স্কুলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে শিক্ষিকার পদে নিয়োগ করা হয় এবং স্কুলে থাকার জন্য একটি ঘরও দেওয়া হয়েছিল। সেখানে নাকি এক রাতে আচমকাই মহারাজ হাজির হয়েছিলেন এবং তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। দিনের পর দিন তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার চালানোর পর তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে জোর করে তাঁর গর্ভপাত করানো হয়। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে।

মান বাঁচাতেই বড় পদক্ষেপ

সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলার ওপর যৌন নির্যাতনের মামলার পর থেকেই বেলডাঙার আশ্রমে কার্তিক মহারাজকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে এখন আর বাংলা নয়, এবার নাকি তাঁকে ঝাড়খণ্ডের সংঘ দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেকথা নিজেই জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। সমালোচকদের ধারণা আসলে সাবধানী পদক্ষেপ হিসেবে ভারত সেবাশ্রম সংঘ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীর জন্য।

আরও পড়ুন: নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে থাকবে নয়া নথি! বড় মন্তব্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

প্রসঙ্গত, এর আগে বঙ্গ রাজনীতিতে একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন প্রদীপ্ত মহারাজ। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও এনেছিল। আর তারপরেই এই যৌন নির্যাতন তাঁর সম্মানে বিরাট বড় কালো দাগ ফেলে দিয়েছিল। তাই এত সব বিতর্ক এড়াতেই বাংলা থেকে এবার কার্তিক মহারাজকে সরিয়ে নেওয়া হল ঝাড়খণ্ডে।

Leave a Comment