রঙ পাল্টে দেব! তৃণমূলকে ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম হুমায়ুন কবীরের

Humayun Kabir

প্রীতি পোদ্দার, ভরতপুর: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস, তাই এখন থেকেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসকদল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু এই প্রস্তুতির মধ্যেই শাসক শিবিরে একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি ফুটে উঠছে প্রকাশ্যে, যা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তৃণমূল কংগ্রেস। এমতাবস্থায় ফের দলবিরুদ্ধ মন্তব্য করে বসলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। করলেন দলের রং বদলের চ্যালেঞ্জ।

বিতর্কে ফের নাম জড়াল হুমায়ুন কবীর

বঙ্গ রাজনীতিতে শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই উঠে আসে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কথা। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার দল তথা দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। কিছুদিন আগেও তিনি প্রকাশ্যে সকলের সামনে নতুন দল তৈরি করার কথাও জানিয়েছিলেন। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। বাবরি মসজিদ নির্মাণ এবং ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন তিনি। তৃণমূলের শৃঙ্খলাকমিটির বৈঠকও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমতাবস্থায় ফের দলবিরোধী মন্তব্য করে বসলেন হুমায়ুন কবীর।

কান্দির তৃণমূল বিধায়ককে কটাক্ষ হুমায়ুনের

স্থানীয় এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ বুধবার ভরতপুরে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের ওয়াররুমের উদ্বোধন করেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এরপর ভরতপুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সমাবেশে বিধায়ক বলেন, “সম্মান দিয়ে নেতৃত্বের জন্য এখনও অপেক্ষা করছি। আমাদের লেজে পা দিলে, আমরাও ছোবল মারতে জানি।” তবে তাঁর এই মন্তব্য শুনে বোঝাই যাচ্ছে তিনি আসলে কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকারকেই বলতে চেয়েছেন। এছাড়াও হুমায়ুন কবীর বলেছন, “আমরা কাউকে আগে আঙুল দেখাব না। কিন্তু আমাদের উপরে কেউ এক আঙুল তুললে, আমরা দুই আঙুল তুলব। ইট ছুড়লে পাথরে জবাব দেব। এতদিন অনেক কিছু মুখ বুঝে সহ্য করেছি।”

আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় গেরুয়া ঝড়! তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান ১০০০ মহিলার

রাজনীতির রঙ পাল্টে ফেলার চ্যালেঞ্জ দলকে

২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের সুরে বুধবার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে সালার, ভরতপুরের ওসিকে ব্যবহার করে গণনাকেন্দ্রে কীভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করে নির্বাচিত হয়েছিল জানি। দুঃখের বিষয়, আজ পর্যন্ত সেইসব প্রধানদের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই। তারা শুধু জমি লুঠ করতেই ব্যস্ত। আমরা ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব। তোমাকে এখানে লুঠ করে খেতে দেব না।” পাশাপাশি কান্দির বিধায়কের নাম না করেই হুমায়ুন কবীর বলেন, “নেতাগিরি করব, আর ভোটের বেলায় তৃণমূলে তিন নম্বর থাকব। কান্দিতে তিন নম্বর, বহরমপুর পুরসভায় তিন নম্বর, তারা আমাদের নেতা হবে। আমাদের চুল চেপে অর্ডার দেবে, তা আমরা মানব না”। এরপর নিজের দলকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে হুমায়ুন বলেন, “ দল যদি মনে করে আমার মতো অসভ্য ব্যক্তিদের দরকার নেই, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেখিয়ে দেব মুর্শিদাবাদের রাজনীতির রঙ কীভাবে পাল্টাবে।”

Leave a Comment