বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ছত্তিশগড়ের দেবভোগ গ্রামের বাসিন্দা মণীশ এবং খেমরাজ। তাঁরা দুজনেই ছেলেবেলার বন্ধু। অন্যান্য ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মতোই তাঁদের মনেও বিরাট কোহলির প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। বলা চলে, দুজনেই কিং কোহলির বড় ভক্ত। কিন্তু, হঠাৎ একদিন সেই প্রিয় পুরুষ ভারতীয় মহাতারকা বিরাট কোহলির সাথেই ফোনে কথা হয়ে যাবে এ কথা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি দুই বন্ধু। তবে না ভাবলেও বাস্তবে ঘটেছে সেই ঘটনা। তবে শুধু কোহলি নন, দুই যুবকের কাছে এসেছে এবি ডিভিলিয়ার্স, রজত পতিদারের কলও। কিন্তু কীভাবে? কেনই বা দুই সাধারণ যুবককে কল করলেন তারকা ক্রিকেটাররা?
আসল ঘটনা
গোটা বিষয়টি খোলসা করে বলতে হলে, গত 28 জুন স্থানীয় এক দোকান থেকে একটি সিম কার্ড কিনেছিলেন মণীশ। নতুন সিম অ্যাক্টিভ হওয়ার পর সেই নম্বর দিয়ে Whatsapp লগইন করতেই প্রোফাইল পিকচারে ভেসে ওঠে ভারতীয় ক্রিকেটার রজত পতিদারের ছবি। প্রথমে গোটা বিষয়টা বুঝে উঠতে পারেননি মণীশ এবং তাঁর বন্ধু।
এরপরই একে একে ঘটতে থাকে সব অকল্পনীয় ঘটনা। হঠাৎ মনীশের ফোনে কল আসে স্বয়ং বিরাট কোহলির। তবে শুধু কোহলি নন, ওই নম্বরে কল করেছিলেন এবি ডেভিলিয়ার্সও। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমদিকে বিষয়টি নিছকই মজার ছলেই নিয়েছিল দুই বন্ধু।
বিশ্বাস না হওয়ায়, তাঁরাও স্থির করেন এবার কোনও ব্যক্তি নামি ক্রিকেটারের নাম করে কল করলে তাঁদের মহেন্দ্র সিং ধোনির পরিচয় দেবেন। সেই মতোই পরিকল্পনা চলছিল। এরই মাঝে 15 জুলাই, মনীশের নম্বরে কল আসে RCB অধিনায়ক রজত পতিদারের। কল রিসিভ করতেই, ওপার থেকে ভেসে আসে, হ্যালো, ভাই আমি রজত পাতিদার।
নম্বরটা দয়া করে আমাকে ফেরত দিন। এটা আসলে আমার পুরনো নম্বর। একথা শুনেই ওই দুই যুবক বলেন, আমরা মহেন্দ্র সিং ধোনি.. আসলে অসম্ভবকে সামনে থেকে দেখলে যা হয়! এরপর বেশ কয়েকবার ওই দুই যুবককে বোঝানোর পর রজত বলেন, তোমাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হবে। তাতেও গুরুত্ব দেয়নি দুই যুবক। এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মনীশের বাড়িতে যায় পুলিশ। এরপর পুলিশের কথায় গোটা বিষয়টি বুঝতে পেরে মণীশ ওই নম্বরটি রজতকে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়।
🚨 Dream call 🚨
Chhattisgarh boy talks to Virat Kohli because of the wrong SIM number .
Rajat Patidar’s Old Number Re-Issued To Chhattisgarh Boys, Leads To Chats With Kohli, AB De Villiers. 🥵 pic.twitter.com/3eEWATHjJT
— Jeet (@JeetN25) August 10, 2025
তবে এসবের মাঝে, দুই বন্ধুর সাথে ঘটে গিয়েছে কোটি টাকার ঘটনা। হ্যাঁ, অ্যাক্সিডেন্টালি হলেও প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে তাঁদের! আর তাতেই আনন্দে আত্মহরার দুই যুবক।
অবশ্যই পড়ুন: চোরা পথে ভারতে ঢুকে হামলা! BSF-র জালে ৪ সশস্ত্র বাংলাদেশি দুষ্কৃতি, উদ্ধার পুলিশের ID
উল্লেখ্য, সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী, কোনও মোবাইল নম্বর যদি 90 দিনের বেশি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে তাহলে সেটিকে অন্যান্য গ্রাহকদের কাছে পুনরায় বিক্রি করা হয়। একই ঘটনা ঘটেছিল পাতিদারের ক্ষেত্রেও। ভারতীয় তারকার নম্বর নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় দোকান থেকে ভাগ্যক্রমে ওই নম্বরটি পেয়ে যান মণীশ। তারপর বাকিটা খবরের শিরোনামে…