সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের মুকুটে এবার নয়া পালক। বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত সরবরাহের জন্য নয়াদিল্লি ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা রপ্তানি চুক্তি (India Deals for BrahMos Missile) স্বাক্ষরের পথে। ইতিমধ্যেই মিলেছে সরকারি অনুমোদন। এবার দেশের প্রতিরক্ষা খাত এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ভারতের ডিআরডিও এবং রাশিয়ার যৌথভাবে তৈরি এই ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রটি অপারেশন সিঁদুরের সময় ক্যালমা দেখিয়েছিল। এ কারণেই একাধিক দেশ এখন এর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
মানি কন্ট্রোলের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তিগুলি বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে। অপারেশন সিঁদুরের সময় নির্ভুলতার সঙ্গে একাধিক পাকিস্তান বিমান ঘাঁটিতে আঘাত করেছিল এই ব্রহ্মোস সুপারসনিক মিসাইল। যার ফলে তাদের একের পর এক বিমান গুঁড়িয়ে যায়। সেই কারণেই এখন আন্তর্জাতিক খাতে বিভিন্ন দেশগুলি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে। সম্প্রতি দুবাইয়ে এয়ার শোতে এই ক্ষেপণাস্ত্রটিতে প্রদর্শন করা হয়েছিল। সেখানেও সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে তা মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।
সুসজ্জিত হচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষা খাত
এদিকে অপারেশন সিঁদুরের সময় এর কার্যকর ব্যবহারের পর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নৌ-বাহিনী থেকে শুরু করে বিমান বাহিনী এবং স্থল ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য আরও বড় কর্মসূচির অনুমোদন করেছে। এবার নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজে ব্রহ্মোস মোতায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। আর ভারতীয় বিমান বাহিনী তার Su-30MKI বহরকেও উন্নত সংস্করণ দিয়ে সুসজ্জিত করে তুলছে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরের সময় গোটা বিশ্ব আমাদের অস্ত্রের সক্ষমতা দেখেছিল। আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন প্রত্যেকটি নিজের জাত চিনিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ ইমরান খানকে জেলে খুনের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল পাকিস্তান
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের প্রথম থেকে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে পাঞ্জাব প্রদেশের জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিগুলিতে আঘাত হেনেছিল। আর ব্রহ্মোস ছিল ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান স্ট্রাইক অস্ত্র, যা নির্ভুলভাবেই সেগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলোও এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে কারণেই এখন আন্তর্জাতিক খাতে এর বিপুল চাহিদা। এখন দেখার, এই ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়।