‘রাজ্যের চালে উল্টে লাভ কর্মীদেরই’, DA মামলায় সরকারকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

bengal da case

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বাংলার ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা মামলায় (Bengal DA Case) খেলা যেন ঘুরে গেল। এবার সব রায়, বক্তব্য সরকারি কর্মীদের আনুকূল্যে এসে গিয়েছে। পঞ্চম বেতন পে কমিশনের আওতায় সরকারের তরফে এবার এমন এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাকে সরকারি কর্মীরা তাঁদের আনুকূল্যেই বলে দাবি করছেন। এর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টও সরকারকে জোরদার ধাক্কা দিয়েছে। ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার নতুন করে পিটিশন দাখিল করেছে। আর এই পিটিশন যেন খুশি করে দিয়েছে কর্মীদের। নিশ্চয়ই ভাবছেন কী হয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

ডিএ মামলায় পিটিশন দেখে খুশি সরকারি কর্মীরা!

রাজ্যের তরফে করা পিটিশন নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন তথা কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি শ্যামলকুমার মিত্র। তিনি বলেছেন, ‘সরকার নতুন করে যে পিটিশন দাখিল করেছে, তাতে সময় দীর্ঘায়িত হবে। আমরা আর্থিকভাব আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ব। কিন্তু এর একটা ভালো দিক আছে। এই পিটিশনটা আমরা এবং আমাদের আইনজীবীরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়েছি।’

যদিও এই পিটিশনে সরাসরি ঠিক কী লেখা হয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কনফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘রাজ্য সরকার যে পিটিশন দাখিল করেছে, তাতে আমাদের যুক্তি সাজাতে অনেক সুবিধা হবে।’ বাংলার মহার্ঘ্য ভাতা মামলা আগামী ১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে উঠবে। আর এদিনের শুনানির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে সরকারি আধিকারিকদের। এদিন মামলার সব শুনানি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সকলে।

রাজ্যকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে ডিএ মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী রউফ রহিমও অভিযোগ করেন, কোনও সুনির্দিষ্ট নীতি ছাড়াই রাজ্য সরকার ইচ্ছামতো ডিএ দিচ্ছে। তা ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্যই বর্ধিত হারে ডিএ দেওয়া প্রয়োজন। এই ঘটনায় বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার নিজেই বিভ্রান্তি তৈরি করে তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুনঃ ফের বাড়ল দর! দেখুন আজকের সোনা, রুপোর দাম

সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, রাজ্যই বলেছিল তারা রোপার ভিত্তিতে ডিএ দেবে। বলা হয়েছিল বকেয়া ডিএ-ও দেওয়া হবে। রাজ্যকে আইন মানতে হবে। আগামী মঙ্গলবার ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের পর্যবেক্ষণ, ‘কর্মীদের আর্থিক অবস্থার কথা ভাবতে হবে৷ রাজ্য সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করে তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এরা নিজেরাই সমস্যা তৈরি করেছে, সেই সমস্যার সুবিধে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ ডিভিশন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি সঞ্জয় কারোল বলেন, ‘মাথায় রাখতে হবে এটা কোনও আর্থিক ইমার্জেন্সি নয়৷’

Leave a Comment