“রাজ্য সরকার বঙ্কিমচন্দ্রকে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি, এড়িয়ে গিয়েছে…” চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রপৌত্র সজলের

Bankim Chandra Chatterjee

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সম্প্রতি ‘বন্দে মাতরম’ স্তোত্রর ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপন হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ সোমবারই সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ রচনার ১৫০ বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর এই আবহে বাংলায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে সরাসরি বিঁধলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Bankim Chandra Chatterjee) প্রপৌত্র সজল চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ তুললেন রাজ্য সরকার প্রাপ্য সম্মান দেয়নি, অবহেলা করেছে এবং এড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তা করেনি। আর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই বাংলা রাজনৈতিক মহলের নতুন করে তরজা শুরু হয়েছে।

কী বলছেন সজল চট্টোপাধ্যায়?

সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূল প্রশাসনকে রীতিমত অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রপৌত্র সজল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ব্রিটিশদের উপর চাপ তৈরি করে রেখেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকার (কংগ্রেস) না বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দিয়েছে, না তাঁর কাজকে। এমনকী, ওরা এখনও একই রকম অবহেলা করে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ওঁরা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম ব্যবহার করেছেন। অবশ্য বলে রাখা প্রয়োজন, এখনকার কেন্দ্রীয় সরকার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দেয়। তবে বাংলার সরকার সেই একই রকম রয়েছে।”

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা সজলের

বাংলায় যেখানে মনীষীদের নিয়ে নানা গর্বের স্তম্ভ গড়ে উঠেছিল সেখানে দাঁড়িয়ে সেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধেই একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রপৌত্র সজল চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় এদিন সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রের সঙ্গে তৈরি হওয়া তাঁর ভাল সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন তিনি। সজলবাবু জানান, ‘২০১৮ সালে অমিত শাহ আমাদের কলকাতার বাড়িতে এসেছিলেন। তখন তো এখানে কোনও নির্বাচন ছিল না। তিনি তাও এসেছিলেন। রাজ্য সরকারের মানসিকতা আমি বুঝতে পারি না।’ অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা যে তাঁর পরিবারের মাঝে মধ্যেই খোঁজ নেন।

আরও পড়ুন: কাজ সেরে স্কুল যাওয়ার পথে পিষে দিল ট্রাক, পশ্চিম মেদিনীপুরে মর্মান্তিক মৃত্যু BLO-র

রিপোর্ট মোতাবেক গতকাল অর্থাৎ সোমবার সজল চট্টোপাধ্যায় দাবি জানিয়েছেন যে, ‘আমাদের বঙ্কিম ভবন এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। সংসদে প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত বাজে, এটা মৌখিক ভাবে বাজলেও তারপর বন্দে মাতরম শুধু সুরের মাধ্যমে অর্থাৎ ইনস্ট্রুমেন্টাল হয়। কিন্তু আমাদের দাবি, এটাও গাইতে হবে।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত সজলের মন্তব্যের কোনো অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এদিকে গতকাল যখন বন্দে মাতরম নিয়ে একাধিক দাবি জানানো হচ্ছিল সেই সময়ই জাতীয় গান নিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তুলে ধরেছিলেন একাধিক অভিযোগ। তাঁর দাবি, ১৯৩৭ সালে ফৈজাবাদে দলের অধিবেশনে কংগ্রেস গানটির কয়েকটি ছন্দ নাকি বাদ দিয়েছিল।

Leave a Comment