রাজ্য সামর্থ্য অনুযায়ী DA দেবে, কেন্দ্রীয় হারে নয়! ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ডিএ নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে টানাপোড়েন নতুন কিছু নয়। আন্দোলন, আইনি লড়াই সবই চলছে দীর্ঘদিন ধরে। আর এবার সেই আগুনে ঘি পড়ল। হ্যাঁ, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট (6th Pay Commission Report) অবশেষে সামনে এল। আর এতে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য DA দিতে পারবে না।

আর এই রিপোর্টকে ঘিরে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে প্রশাসনিক মহালে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে গঠিত এই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার তাদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ডিএ দেবে। কেন্দ্রের মতো AICPI সূচক মেনে ডিএ দেওয়ার পক্ষপাতিত্ব নয় রাজ্য।

বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলন বহাল

তবে এই রিপোর্ট প্রকাশে আসলো ঠিক সেই সময়, যখন 2009 থেকে 2019 সালের মধ্যে বকেয়া ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। তবে বলে রাখি, এই বকেয়া ডিএ নিয়ে মামলা চলেছে পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ হিসাবে। ষষ্ট কমিশনের রিপোর্টের সঙ্গে এই নির্দেশনার কোনও যোগাযোগ নেই বলেই মনে করছে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ। 

বলে রাখি, ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট 2015 সালের মধ্যেই তৈরি করা হয়ে গিয়েছিল। তবে তা দীর্ঘ 10 বছর ধরে সামনে আসেনি। এরপর এক কর্মচারী সংগঠনের মামলার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, জুলাইয়ের মধ্যে এই রিপোর্ট সবার সামনে আনতে হবে। সে মতোই পাবলিক ডোমেইনে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।

রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেড অনুযায়ী বেতন কাঠামো উল্লেখ করা থাকবে। আর রাজ্য সরকার ইচ্ছে মতো ডিএ দেবে। কেন্দ্রীয় নিয়ম মেনে চলার কোনোরকম দরকার নেই। এমনকি সর্বভারতীয় কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স মেনেও ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় ফের ছুটি ঘোষণা, বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের

তবে এই রিপোর্টকে ঘিরে সংগঠনের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার নিজে এক সময় কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেয়েছেন। আর এখন তিনি সুর পালটে দিচ্ছেন! এ কেমন বিচার? এত দিনের রীতি ছিল এআইসিপিআই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের ডিএ নির্ধারিত হবে। তবে হঠাৎ করে সেই নিয়ম পাল্টে গেল…

Leave a Comment