রাতারাতি টাকা ডবলের প্রলোভন! হুগলিতে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে সর্বস্ব খোয়া গেল আমজনতার

Chit Fund Scam in Hooghly

সৌভিক মুখার্জী, হুগলি: আবারও চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম উঠল হুগলির (Chit Fund Scam in Hooghly)। সিনেমার মতোই টাকা ডবল করার ফাঁদে ফেঁসেছে আমজনতা। একেবারে সর্বস্ব খোয়া গেছে তাদের। জানা যাচ্ছে, হেলথ সলিউশনের আড়ালেই হয়েছিল কোটি কোটি টাকার ভুয়ো প্রতারণা চক্র। টাকা ফেরত নিতে আসতেই দেখা যায় অফিসের তালা বন্ধ। ইতিমধ্যেই চুঁচুড়ার খাদিনামোরে অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে আন্দোলনে নেমেছে প্রতারিতরা।

ফের চিটফান্ড কেলেঙ্কারি হুগলিতে

স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী খবর, হুগলির খাদিনামোরের ওই চিটফান্ড অফিসে মূলত হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কিছু জেলা থেকে প্রতারিতরা টাকা রেখেছিলেন। সেখানকার হেলথ সলিউশন নামের এক অফিস খুলেই তার আড়ালে শেয়ার ট্রেডিং চলত। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো, অল্প সময়ের মধ্যেই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আর সেই লোভেই পা ফেলত সাধারণ মানুষ। সূত্রের খবর, গত দুই বছর ধরেই বহু মানুষ এই সংস্থায় টাকা রেখেছেন। কখনো মাসে ৪ শতাংশ, কখনো ৮ শতাংশ আবার কখনো ১২ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার লোভ দেখানো হতো। আর তাতেই লোভ সামলাতে না পেরে সর্বশান্ত হয়েছে আমজনতা।

এদিকে প্রতারিতরা সংস্থার মালিক তুষার কান্তি মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। প্রতারিত এক ব্যক্তি বলেছেন, আমাদের সঙ্গে ভয়ংকর প্রতারণা করা হয়েছে। আসল টাকা আমাদেরকে ফেরত দিক। আমাদের টাকা ডবলের দরকার নেই। আমরা নিজের টাকা রেখেছি, আবার অন্যদেরকেও রাখতে বলেছি। আমরা এখন সর্বশান্ত হয়েছি। তারা এখন আমাদের টাকাও ছাড়ছে না। এর আগে অফিসে বলতে এসে হুমকিরও শিকার হয়েছি। অন্যদিকে বারাসতের এক প্রতারিত জানিয়েছেন, আমি নিজেই এখানে ২৫ লক্ষ টাকা রেখেছি। বারাসাত থেকে মোট আড়াই কোটি টাকা জমা করেছি সবাইকে দিয়ে। সেই সব টাকা প্রতারণা চক্রে ফেঁসেছে।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীবারে সোনা, রুপোর দাম নিয়ে নয়া আপডেট

এদিকে বুধবার টাকা আদায় করতে এসেই সবাই দেখেন সংস্থার অফিস বন্ধ, এমনকি সেখানে তালা দেওয়া। আশেপাশেও কেউ নেই। এদিকে প্রতারিতরা সেই অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে সেখানে ব্যানারও ঝুলিয়ে দেন এবং বিক্ষোভ দেখান। তাদের অভিযোগ, টাকা ডবল করার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। এমনকি কোর্ট পেপারে চুক্তি করেই তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। তবে এখন সব উধাও। কয়েক মাস সুদের টাকা দিলেও তারপর থেকে আর কোনও হদিশ নেই।

Leave a Comment