লটারির নেশায় থাকতেন বুঁদ হয়ে! অবশেষে ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল পরিযায়ী শ্রমিক জাকিরের

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: কথায় আছে, কোনও কিছুই নেশায় পরিণত হওয়া ভাল নয়! তবে এমন প্রচলিত প্রবাদের ঠিক ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল বহরমপুরে। আসলে বহরমপুরের সাটুই-চৌরিগাছা পঞ্চায়েতের বাঁশাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা জাকির শেখ পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক।

তাঁরই লটারি কাটার বড্ড নেশা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দীর্ঘ দু’বছর ধরে সেই নেশাতেই লটারি কেটে যাচ্ছেন কিছু পাওয়ার আশায়। সম্প্রতি সেই লটারি থেকেই 600 টাকা পেয়েছিলেন জাকির। তবে সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই এবার মারলেন বড় দান! জানা যাচ্ছে, মাত্র 150 টাকার টিকিটে কোটি টাকা জিতলেন লটারির নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক জাকির শেখ।

150 টাকায় কোটিপতি জাকির (Berhampore Lottery News)

বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, বছরের বেশিরভাগ সময় কাজের সূত্রে মুম্বইতেই থাকেন বহরমপুরের জাকির। আসলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে, তবে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। আর ঘরে ফিরতেই ভাগ্য খুলে গেল জাকিরের। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক জাকির জানিয়েছেন, গত শুক্রবারের আগের শুক্রবার 150 টাকা দিয়ে সাটুই বাজার থেকে একটি ডিয়ার লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি।

পরবর্তীতে অনলাইনে নম্বর মিলিয়ে দেখেন কোটি টাকা খেলেছে তাঁর ভাগ্যে। আর এর পরই জাকিরের বাড়িতে হাজির হয় আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশী। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, লটারিতে টিকিট বেঁধেছে সে কথা জানতে পেরেই জাকিরের সাথে এক দুই নয়, একেবারে 12 জন ঘনিষ্ঠ হাজির হন থানায়। আসলে পরিচিতকে নিরাপত্তা দিচ্ছিলেন আর কী! সূত্রের খবর, আত্মীয়স্বজনকে সাথে নিয়ে কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই স্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় টিকিটটি জমা দিয়েছেন জাকির।

অবশ্যই পড়ুন: বছরে তিনবার জন্মদিন পালন করেন আদানি! তৃতীয় কারণটি গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়েছিল

কোটি টাকা দিয়ে কী করবেন পরিযায়ী শ্রমিক?

লটারিতে কোটি টাকা জেতার পর বহরমপুরের ভাগ্যবান জানিয়েছেন, তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁদের বিয়ে দিতে হবে। আগে যখন অর্থের সমস্যায় ভুগতেন, প্রায়শই চিন্তায় থাকতেন দুই মেয়ের বিয়ে নিয়ে। তবে এবার ভগবান মুখ তুলে চেয়েছে! তাই এই অর্থ দিয়ে দুই মেয়ের ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা জেগেছে বাবার মনে। তাছাড়াও পুরস্কারের অর্থ থেকে কিছু টাকা দিয়ে নিজেদের জন্য একটি পাকা বাড়ি বানানোরও ইচ্ছে রয়েছে জাকির শেখের।

Leave a Comment