সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিহারের নালন্দা জেলায় আজ অর্থাৎ বুধবার ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হ্যাঁ, রাজ্যের গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রবণ কুমার এবং হিলসার বিধায়ক কৃষ্ণ মুরারি ওরফে প্রেম মুখিয়া গ্রামবাসীদের তোপের মুখে পড়লেন (Attack on Minister)। তবে নেপথ্যে কী কারণ?
স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মটমপুরসি গ্রামে এক ট্র্যাক দুর্ঘটনায় নয় জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল ঠিক দু’দিন আগে। তবে বুধবার মন্ত্রী এবং বিধায়ক নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেই পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
শুরুটা শান্ত হলেও শেষটা নয়!
গ্রামে পৌঁছনর পর মন্ত্রী শ্রবণ কুমার এবং বিধায়ক কৃষ্ণ মুরারি আধঘণ্টা ধরে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রথমদিকে পরিবেশ মোটামুটি শান্ত থাকলেও ক্ষতিপূরণ ও প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগে গ্রামবাসীরা ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। গ্রামবাসীদের দাবি, সময় মতো ব্যবস্থা নিলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তবে প্রশাসনের অবহেলায় তাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে।
Nalanda में जान बचाकर भागे मंत्री Shravan Kumar, 9 लोगों की मौत पर परिजनों से मिलने पहुंचे थे. हमले में मंत्री के सुरक्षाकर्मी भी हुए घायल.. pic.twitter.com/lzLGeUD1tq
— Bihar Tak (@BiharTakChannel) August 27, 2025
এরপর মন্ত্রী ও বিধায়ক ফেরার পথেই হঠাৎ উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠে। ক্ষুব্ধ মানুষজন লাঠি নিয়েই তাঁদের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। উপস্থিত পুলিশ ও বডিগার্ডরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অবশেষে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে মন্ত্রী ও বিধায়ককে প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে পালাতে হয়। এমনকি হামলায় তাদের বডিগার্ডসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
কী নিয়ে এত ক্ষোভ গ্রামবাসীর?
আসলে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মূল কারণ ছিল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জেলা নালন্দাতে এতবড় দুর্ঘটনার পাঁচদিন কেটে গেলেও কোনো জনপ্রতিনিধি তাদের খোঁজ নিতে আসেনি। তাঁদের মতে, এত বড় দুর্ঘটনার পর সরকারের এহেন উদাসীনতা সত্যিই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ বকেয়া সাড়ে তিন লক্ষ! বনগাঁর বিজেপি বিধায়কের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল দপ্তর
এদিকে এই ঘটনার পর গোটা গ্রামজুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে বিপুল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আর প্রশাসন বর্তমানে পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন দেখার আগামী দিন কী হয়।