সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: লালকেল্লা (Red Fort) থেকেই ভয়াবহ চুরি! হ্যাঁ, আমরা সকলেই জানি যে দেশের সবথেকে হাই সিকিউরিটি জোন দিল্লির লালকেল্লা। তবে সেখানে দাঁড়িয়েই কোটি কোটি টাকার সোনা, হীরে, পান্না চুরি হয়ে গেল। মানে ভাবতে পারছেন? শুনলেই কেমন গা শিউরে ওঠার মতো। অথচ গত মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যা রীতিমতো রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
কী কী চুরি হয়েছে?
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, লালকেল্লা থেকে ৭৫০ গ্রাম সোনা ও হিরে-পান্না বসানো একটি বিশেষ কলসি অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চ থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছে। আর এই কলসিটির মালিক ব্যবসায়ী সুধীর জৈন। তিনি নিয়মিত পুজোর জন্য কলসিটিকে নিয়ে আসতেন। ঘটনার সময়ও কলসিটি মঞ্চে রাখা ছিল। সেখান থেকে হঠাৎ করেই সেটি উধাও হয়ে যায়।
কত টাকার সম্পত্তি?
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, চুরি যাওয়া মোট সামগ্রীর মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর এরকম মূল্যবান সম্পত্তি দেশের ঐতিহাসিক লাল কেল্লার মতো জায়গা থেকে চুরি হওয়ার পত প্রশাসনের চোখে আঙুল দিয়ে ব্যর্থতা তুলে ধরছে। তবে এরপর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
Just Now 🚨 🚨
A Gold & Diamond encrusted kalash (urn) worth crores stolen from Delhi’s Red Fort during a Jain religious event.
When People were busy performing rituals outside, the urn kept inside was stolen.
CCTV Video 📷 #RedFort #Delhi #DelhiPolice pic.twitter.com/rYzsSgAiHH
— Mayank (@mayankcdp) September 6, 2025
সিসিটিভিতে চোরের হদিস
তবে তদন্ত নেমে পুলিশ প্রথমেই ভরসা রেখেছে সিসিটিভি ফুটেজের উপর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি জৈন সন্ন্যাসীর মতো পোশাক পরে অনুষ্ঠানে ঢুকেছিল। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই এসে কলসিটিকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। এমনকি চুরি করার পর হেঁটে বেরোনোর সম্পূর্ণ ঘটনা ওই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।
তবে সবথেকে বড় প্রশ্ন উঠছে, এত কঠোর নিরাপত্তা সত্বেও কীভাবে চোর লাল কেল্লার ভিতরে ঢুকতে পারল? আর কীভাবেই বা সে খুব সহজে চুরি করে ওখান থেকে পালিয়ে গেল? সিসিটিভি থাকলেও সে সময় নিরাপত্তা রক্ষীদের নজর কীভাবে এড়াল? তাহলে কি সবটাই প্রশাসনের ব্যর্থতা?
আরও পড়ুনঃ GST কমায় Nexon-র দাম কমছে ১.৫৫ লাখ! Punch-র কত? তালিকা দিল Tata
যদিও পুলিশ ইতিমধ্যেই সন্দেহভোজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে। খুব শিগগিরই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পর আবারও বড়সড় প্রশ্ন উঠছে, দেশের সবথেকে সুরক্ষিত ঐতিহাসিক স্থানে যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ঠিক কোথায়?