সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দিল্লিতে সেই গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা এখনও টাটকা। হ্যাঁ, লালকেল্লার পাশে সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জন নিরীহ নাগরিকের, এমনকি আহত হয়েছিল প্রায় ৩০ জন। তবে এর মধ্যেই দিল্লির একাধিক স্কুল এবং আদালতে ছড়াল বোমাতঙ্ক (Bomb Scare in Delhi)। সতর্কতা মিলতেই একের পর এক আদালত খালি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি শুনানিও বন্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের বিশাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে আর তল্লাশিও শুরু হয়েছে।
ফের বোমাতঙ্ক দিল্লিতে
পিটিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালেই দিল্লির বেশ কয়েকটি নিন্ম আদালতে এই বোমা হামলার হুমকি ইমেইল মারফৎ জানানো হয়েছে। এমনকি তৎক্ষণাৎ লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আর তল্লাশি শুরু করা হয়। মূলত সাকেত কোর্ট, পাতিয়ালা হাউস কোর্ট, তিস হাজারী কোর্ট, রোহিণী কোর্ট এবং দ্বারকা কোর্ট সহ বেশ কয়েকটি জেলার নিম্ন আদালতে এই বোমাতঙ্ক ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীরা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাশাপাশি বম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড ও নাশকতা বিরোধী ইউনিটগুলিও ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আর আদালত প্রাঙ্গণ খালি হতে শুরু করে।
দিল্লির দুই স্কুলেও বোমা হামলার হুমকি
এদিকে পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেই শহরের দুই সিআরপিএফ স্কুলেও এই বোমা হামলার আতঙ্ক ছড়ায়। দ্বারকার সিআরপিএফ স্কুল এবং প্রশান্ত বিহারের আরও এক সিআরপিএফ স্কুলে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। যার ফলে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং পুলিশ ক্যাম্পাসে তল্লাশিও চালায়। জানা গিয়েছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফোন কলগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। এমনকি হুমকির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে নয়া মোড়! ফরিদাবাদের ২৫ জায়গায় তল্লাশি অভিযান ইডির
বলাবাহুল্য, জৈশ-ই-মহম্মদ পরিচয় দিয়ে একজন প্রেরক ওই ইমেইলগুলি পাঠিয়েছে বলেই অভিযোগ। দিল্লির পাঁচটি আদালতকে লক্ষ্য করেই মূলত ইমেইল পাঠানো হয়েছে। লালকেল্লার বিস্ফোরক হামলার এক সপ্তাহ পরেই ঘটেছে এই ঘটনা। এর ফলে নিরাপত্তার উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রাঙ্গনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আর সমস্ত ইউনিটগুলিকে সক্রিয় করা হয়েছে। পাশাপাশি আদালত ও স্কুলের বাইরেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।