লেখাপড়ার জন্য পাগল! ছেলে আত্মঘাতী হামলা ঘটিয়েছে জেনে কী বলছে উমরের পরিবার?

Umar Mohammed Family Shcoked after knowing Umar name linked with Delhi Blast

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ছিলেন পরিবারের একমাত্র ভরসা। বংশের প্রদীপ। তাঁর সাফল্য আশার আলো দেখিয়েছিল পরিবারের বাকিদের। দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ছেলে উমর মহম্মদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্তম্ভিত তাঁর জম্মু ও কাশ্মীরের গোটা পরিবার (Umar Mohammed Family Shocked)। বাড়ির ছেলের এমন কাণ্ডে একরাশ হতাশা নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন উমরের প্রিয়জনেরা।

কীভাবে বিস্ফোরণকাণ্ডে উঠে এল উমরের নাম?

সোমবার সন্ধ্যা 6টা বেজে 52 মিনিট নাগাদ লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। আর সেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল যেই গাড়ি, অর্থাৎ সাদা রঙের সেই হান্ডাই i20 ভাইরাল ফোরহূইলারটির বর্তমান মালিক জম্মু ও কাশ্মীরের চিকিৎসক উমর মহম্মদ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা সেই তথ্য জানতে পারেন একটি সিসিটিভি ফুটেজ মারফত। এরপরই দীর্ঘ তদন্তের পর উঠে আসে যাবতীয় তথ্য। বিস্ফোরণের ঘটনার কিছু সময় আগে ওই সিসিটিভি ফুটেজটিতে গাড়ির চালকের আসনে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল উমরকে। মাস্ক পরে ড্রাইভারের সিটে বসেছিলেন তিনি।

একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গাড়ি চালাতে চালাতে আচমকা মাঝপথে চালকের আসন ছেড়ে অন্য সিটে গিয়ে বসেন উমর। তবে গাড়িটি এরপর কে চালাচ্ছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীদের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত গাড়িটি বেশ কয়েক হাত ঘুরেছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের অনুমান, জঙ্গি সন্দেহে দুই সঙ্গী গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার পর একপ্রকার আশঙ্কাতেই দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ ঘটান উমর।

অবশ্যই পড়ুন: প্রথম স্ত্রীকে রেখেই দ্বিতীয় বিয়ে, একসঙ্গে দুই নারীকে নিয়ে ঘর করছেন রশিদ খান?

লেখাপড়ায় মজে থাকতেন উমর

সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় বাড়ির ছেলে উমরের নাম যে এভাবে জড়িয়ে যাবে সে কথা কল্পনাতেও ভাবেননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বিগত কিছু ঘন্টায় উমরের সাথে একাধিক জঙ্গীযোগের খবর উঠে আসলেও একটা সময় নাকি বইয়ের মধ্যেই মুখ গুঁজে পড়ে থাকতেন জম্মু ও কাশ্মীরের চিকিৎসক।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, উমর প্রসঙ্গে তাঁর বৌদি জানিয়েছেন, “গত শুক্রবারই ওর সাথে আমার কথা হয়েছিল। তখন কথা বলার সময় ও আমাকে জানিয়ে ছিল সামনেই পরীক্ষা আছে তাই লাইব্রেরীতেই পড়াশোনা করছে। সারাদিন বইয়ের মধ্যেই মুখ গুঁজে পড়ে থাকত ও। বাড়িতে ফিরেও লেখাপড়ার বাইরে আর কিছুই ভাবতে পারতো না উমর।” সেই ছেলেই যে এমন কাণ্ড ঘটাল এমনটা শুনে স্তম্ভিত তিনি। এদিন উমরের দাদার স্ত্রী এও, “ওর মা চরম দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে ওকে বড় করেছে। একটা সময় গিয়ে পরিবারের আশার আলো ছিল উমর! এখন কী হল এসব!”

Leave a Comment