বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ফুটবলের ভগবান লিওনেল মেসিকে (Messi India Tour) দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন বাংলার ভক্তরা। যা পরবর্তীতে ভয়ানক বিশৃঙ্খলার রূপ নেয়। ভেঙে ফেলা হয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের একের পর এক চেয়ার, গেট। ছেড়া হয় ব্যানারও। ভাঙচুর চলে খাবারের স্টলগুলিতেও। যে ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। গ্রেফতার করা হয় মেসিকে ভারতে নিয়ে আসার পেছনে মূল কারিগর শতদ্রু দত্তকে। গতকালই তাকে তোলা হয়েছিল আদালতে। আর তারপরেই তদন্তকারীদের তালিকায় ভেসে উঠেছে আরও কয়েকজনের নাম।
যুবভারতীর বিশৃঙ্খলায় গ্রেফতার আরও দুই
13 ডিসেম্বর, সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গোছানো মঞ্চ একেবারে তছনছ করে দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ দর্শকরা। আর সেই ঘটনার পরই সরাসরি ম্যানেজমেন্টের দিকে আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই তড়িঘড়ি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। পরবর্তীতে রবিবার তাঁকে তোলা হয়েছিল বিধাননগর আদালতে। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শতদ্রু একা নন, যুবভারতীর বিশৃঙ্খলার পেছনে দায়ী আরও কয়েকটি নাম। আর তারপরই, রবিবার রাতভর শতদ্রুকে জেরা করে পুলিশ।
মূল উদ্যোক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই উঠে আসে আরও দুজনের নাম। যাদের ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম শুভ্রপ্রতিম দে এবং অপরজন সৌরভ বসু। জানা যাচ্ছে, শহরে ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র সল্টলেক স্টেডিয়ামের ভয়ংকর বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারাও। আজ অর্থাৎ সোমবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে বলেই খবর।
অবশ্যই পড়ুন: চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি ম্যাচগুলি আর খেলবেন না বুমরাহ? জানিয়ে দিল BCCI
অশান্তির ঘটনায় কত ক্ষতি হল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের?
ফুটবলের রাজপুত্র শহরে আসার পর শীতের আমেজ যেন নিমিষে বদলে যায় উষ্ণতায়। উত্তাপ ছড়ায় ফুটবলের মক্কায়। তবে লিওর আগমন শুভ হলেও প্রস্থান যে একেবারে কল্পনার অতীত হবে সেটা কে জানতো। জানা গিয়েছে, 13 ডিসেম্বর মেসিকে দেখতে না পেয়ে জনরোষ যেভাবে স্টেডিয়ামের উপর আছড়ে পড়েছিল তাতে আস্ত থাকিনি, গ্যালারির চেয়ার থেকে শুরু করে খাবারের স্টল কিছুই। আর সেসব নিয়েই বিরাট ক্ষতি হয়েছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের। একাধিক সূত্র মারফত খবর, প্রবল বিশৃংখলার কারণে সবমিলিয়ে যুবভারতীর ক্ষতির পরিমাণ 2 কোটি থেকে আড়াই কোটি টাকার কাছাকাছি। এবার স্টেডিয়ামের সেই ক্ষতিপূরণ করবে কে? প্রশ্নটা আপাতত তোলাই থাকলো।