শাহজাহান-সাক্ষীর দুর্ঘটনা কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার ১, এখনও অধরা লরির চালক

Shahjahan Witness Accident Case

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, তাই এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে পারদ বেশ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এমতাবস্থায় খবরের শিরোনামে উঠে এল ন্যাজাটকাণ্ডের ঘটনা। নয়া মোড় নিল এই দুর্ঘটনা (Shahjahan Witness Accident Case)। নানা তদন্তের পর অবশেষে তিনদিনের মাথায় শাহজাহান সাক্ষী-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল ১ জনকে। কিন্তু এখনও অধরা লরির চালক আব্দুল আলিম মোল্লা, শুধু তাই নয় যে আব্দুল আলিম মোল্লাকে পালাতে সাহায্য করেছে তাঁকেও এখনও হাতের নাগালে পায়নি পুলিশ, তবে জোর কদমে চলছে তল্লাশি অভিযান।

পরিকল্পনামাফিক হামলা বলে অভিযোগ সাক্ষীর

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে চার চাকার একটি গাড়ি করে বসিরহাট আদালতে যাচ্ছিলেন শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী ভোলা ঘোষ এবং তাঁর ছোট ছেলে সত্যজিৎ ঘোষ। আচমকা বাসন্তী হাইওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেই গাড়িটি। উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে গাড়িটি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সত্যজিৎ এবং গাড়িচালক শাহানুর মোল্লা। মৃতের পরিবারের দাবি, নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনামাফিক হামলা হয়েছে। কারণ, বুধবার আদালতেই যাচ্ছিলেন শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলার অন্যতম ওই সাক্ষী। এরপর ঘটনা ঘটার পরেরদিনই অভিযোগ দায়ের করেন ভোলা ঘোষ।

গ্রেফতার করা হল ১ জনকে

গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী ভোলা ঘোষ। আদালতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর পুত্র এবং গাড়ির চালকের। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভোলা। তাঁর দাবি, ‘পরিকল্পিত ভাবে খুন’ করা হয়েছে দু’জনকে। কিন্তু কাদের বিরুদ্ধে FIR করেছেন, তা তিনি প্রকাশ করেননি। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল ১ জনকে, এখনও অধরা গাড়ির চালক।

আরও পড়ুন: স্বামী বাংলাদেশি, স্ত্রী মায়ানমার বাসিন্দা! পরিচয় লুকিয়ে কাকদ্বীপে অনুপ্রবেশকারীর বসবাস

রিপোর্ট মোতাবেক, আজ অর্থাৎ শনিবার, ভাঙর থেকে ভোলা ঘোষের দুর্ঘটনায় অবশেষে ন্যাজাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে রুহুল কুদ্দুস শেখকে। এখনও অধরা ঘাতক লরির চালক ও বাকি অভিযুক্তরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পার হয়ে গেলেও কেন এখনও অভিযুক্তদের ধরতে পারছেন না তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে সিসিটিভি খতিয়ে দেখে বাকিদের খোঁজ করেছে তদন্তকারীরা।

Leave a Comment