সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে শেষমেষ তালা পড়ল শিক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ে। শুধুমাত্র একটি নয়, একাধিক শিক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে এই একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকাভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে সকলের মধ্যে। সবথেকে শোচনীয় অবস্থা হুগলী (Hooghly) জেলাতে। গোঘাট থেকে শুরু করে আরামবাগের একাধিক স্কুলে ঝুলছে তালা। শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলে এখন ক্লাসরুমগুলি কারোর তিল, ধান রাখার জায়গা হয়েছে তো কারোর আড্ডা দেওয়ার জায়গা। আবার রাত বাড়লেই দেখা যাচ্ছে সমাজ বিরোধীদের।
তালা পড়ছে একের পর এক স্কুলে
আনন্দবাজার পত্রিকা অনুযায়ী, সম্প্রতি তালা লেগেছে গোঘাট১ ব্লকের সানবাঁধি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে। এদিকে বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আরামবাগের নারায়ণপুর উচ্চ মাধ্যমিক প্রাথমিক স্কুলে। এই স্কুলে না কোনও পড়ুয়া আছে না শিক্ষক। যাও বা কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীরা রয়েছেন তাঁরা বিকল্প পোস্টিং না পাওয়ায় বিকেল অবধি স্কুলে কাটিয়ে যে যার বাড়ির পথ ধরছেন।
এক কথায় কিছু স্কুল পড়ুয়া তো আবার কিছু স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে। আর এরকম পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নতুন করে নিয়োগ হচ্ছে না। কেউ অবসর নিলে বিকল্প অতিথি-শিক্ষকও মিলছে না। বাধ্য হয়ে সেগুলো বন্ধ করা হচ্ছে এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাকেন্দ্রের পড়ুয়াদের আশপাশের স্কুলের সঙ্গে একত্র করে দিচ্ছি আমরা।”
শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা জেলায়
ওই সব পরিত্যক্ত ভবনগুলি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বা অন্য কোনও সরকারি কাজে লাগানো যায় কি না, তা নিয়ে রাজ্য দফতরের দৃষ্টিও আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ War 2, রজনীকান্তকে পেছনে ফেলল দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’, কী হয়েছে জানেন?
শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চ’-এর হুগলি জেলা সম্পাদক তথা হরিপাল ব্লকের চুনিরডাঙা শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষিকা মুক্তি বারিকের অভিযোগ, “মূল সমস্যা, কেন্দ্র সূচনার পরে নতুন করে নিয়োগ না হওয়া। ২০ জন পড়ুয়াপিছু এক জন করে শিক্ষিকার ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের ক্ষেত্রে কেউ অবসর নিলে সেই পদে আর নিয়োগ হচ্ছে না। এমনিতেই একার পক্ষে শিশু থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি ক্লাস একা সামলানো যাচ্ছে না।’’