বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে শুরু হলো নিয়োগ প্রক্রিয়া (West Bengal SSC Recruitment)। রাজ্য সরকারের সংস্পর্শে থাকা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মী নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই গ্রুপ সি এবং ডি মিলিয়ে দুই গ্রুপে 8 লক্ষ আবেদন পত্র ইতিমধ্যেই জমা পড়ে গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, ডি গ্রুপে সবচেয়ে বেশি আবেদন জানিয়েছেন চাকরির প্রার্থীরা।
জোর কদমে চলছে নথি যাচাইয়ের কাজ
ফলাফল প্রকাশের পর একাদশ এবং দ্বাদশের যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে SSC। তবে সেই প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও অযোগ্য প্রার্থী থেকে না যান তা নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক কমিশন। সেই মর্মে ইতিমধ্যেই 269 জনকে অকৃতকার্য বা অযোগ্য বলে চিহ্নিত করে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, অযোগ্যদের মধ্যে প্রত্যেকেই এ বছরের পরীক্ষায় বসে ছিলেন। পরবর্তীতে নথি যাচাইয়ের সময় ধরা পড়লে তাদের সকলকেই এক ধাক্কায় বাদ দেয় কমিশন। সূত্রের খবর, অযোগ্যদের মধ্যে কমপক্ষে 8 থেকে 9 জন প্রার্থী প্রার্থী বিশেষভাবে সক্ষম।
এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের একজন আধিকারিক নাম প্রকাশ না করার শর্ত জানিয়েছেন, “নিয়ম মেনে জোরকদমে চলছে একাদশ এবং দ্বাদশের পরীক্ষায় সফল চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাইয়ের কাজ। এই কাজ আগামী 4 ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। সেটা শেষ হলে শুরু হবে নবম এবং দশমের উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের নথি যাচাই প্রক্রিয়া। এরই মাঝে অযোগ্যদের চিহ্নিত করতে নথি যাচাই প্রক্রিয়ায় বিশেষ বদল এসেছে। বর্তমানে পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের তিন পর্যায়ে যাচাই করা হচ্ছে।
অবশ্যই পড়ুন: আজই ভারতের প্রথম জুটি হিসেবে ইতিহাস গড়তে চলেছেন রোহিত-বিরাট
প্রসঙ্গত, বঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যতবার দুর্নীতি সামনে এসেছে ততবারই স্কুল সার্ভিস কমিশন একেবারে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নবম-দশম এবং দ্বাদশ ও একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর SSC। এর জন্য প্রয়োজন অযোগ্য প্রার্থী চিহ্নিত করে তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। আর সেটা করতে যতদূর পর্যন্ত যেতে হয় ততদূর যাবে কমিশন।