শিক্ষা বিভাগের এই কর্মীদের বেতন বেড়ে দ্বিগুণ! ভোটের মুখে বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

salary hike

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ এখনও অবধি ঘোষণা হয়নি, তবে তারই মাঝে একের পর এক ঘোষণা করেই চলেছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে ভোটের আবহে বিরোধীরাও প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। যাইহোক, রাজ্যের আসন্ন ভোটের আবহে আগস্ট মাসের শুরুতেই বিরাট বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মূলত ঘোষণা করেছেন শিক্ষকদের নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, বিহারে শিক্ষা বিভাগে কর্মরত সমস্ত আধিকারিকদের বেতন বা সাম্মানিক এক লাফে কয়েক গুণ বেড়ে গেল (Salary Hike)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এক্স-এ মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ঘোষণা করেছেন যে তিনি শিক্ষা বিভাগে কর্মরত সমস্ত কর্মচারীদের সম্মানী ভাতার পরিমাণ দ্বিগুণ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, ‘রাঁধুনি, নাইট গার্ড এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রশিক্ষকরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই সমস্ত কারণ মাথায় রেখে, বিহার সরকার এই কর্মীদের সম্মানী দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সম্মানজনকভাবে বৃদ্ধি করার মাধ্যমে।’

কত টাকা বাড়ল বেতন?

বিহার সরকার শিক্ষা বিভাগের অধীনে দুপুরের খাবারের জন্য কর্মরত রাঁধুনিদের সাম্মানিক ১৬৫০ টাকা থেকে দ্বিগুণ করে ৩৩০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সাথে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার স্কুলগুলিতে নাইটগার্ডের সাম্মানিক ৫০০০ টাকা থেকে দ্বিগুণ করে ১০,০০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রশিক্ষকদের সম্মানী ৮০০০ টাকা থেকে দ্বিগুণ করে ১৬০০০ টাকা করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের বার্ষিক বেতন ২০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা বৃদ্ধি করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার বলছে যে এতে কর্মজীবী মানুষের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং তারা আরও উৎসাহ ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

আরও পড়ুনঃ মাসের শুরুতেই DA মামলায় এল সুখবর, খুশিতে ডগমগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, ‘২০০৫ সালের নভেম্বরে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৫ সালে শিক্ষার মোট বাজেট ছিল ৪৩৬৬ কোটি টাকা যা এখন বেড়ে ৭৭৬৯০ কোটি টাকা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে, নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি এনেছে।’

Leave a Comment