সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গত 21 জুলাই সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন চলাকালীন উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ঐদিন সারাদিন দায়িত্ব সম্মেলনের পর হঠাৎ করেই সন্ধ্যাবেলা রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে নিজের ইস্তফাপত্র তুলে দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, এর পিছনে কি অন্য কোনো কারণ লুকিয়ে রয়েছে? মুখ খুললেন অমিত শাহ।
কী বললেন অমিত শাহ?
উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পিছনে কী কারণ রয়েছে, সেই জল্পনার ইতি টানলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, জগদীপ ধনখড় সাংবিধানিক পদে থেকে যথেষ্ট সৎভাবেই দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ইস্তফা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কারণেই। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণ নেই। তবে অমিত শাহের বক্তব্য বিরোধীদলগুলি সহজে মানতে নারাজ।
#WATCH | On opposition raising questions about the resignation of former VP Jagdeep Dhankhar, Union HM Amit Shah says, “…’Baat ka batangad nahi banana chahiye’ (don’t make a fuss about it). Dhankhar ji was on a constitutional post and during his tenure, he did good work… pic.twitter.com/jJGRMogynf
— ANI (@ANI) August 25, 2025
বিরোধীদের অভিযোগ
এদিকে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করছেন যে, জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগের পিছনে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা নয়, বরং সরকারের কিছু গুরুতর মতবিরোধ থাকতে পারে। বিশেষ করে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে বিরোধীদলগুলির অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ নিয়ে যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল, তা হতে পারে ইস্তফার মূল কারণ।
তিনি বলেছেন, দেশের উপরাষ্ট্রপতি হঠাৎ করে এভাবে সরে দাঁড়াবেন, এটা কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। সরকার আসল সত্যিটা লুকোচ্ছে। এদিকে ইস্তফার পর থেকে জগদীপ ধনখড় আর প্রকাশ্যে কোথাও দেখা দেননি। এখন স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তিনি আসলে কোথায় রয়েছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা কেমন?
আরও পড়ুনঃ ২২০ কিমি স্পিডে ছুটবে ট্রেন, তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম হাইস্পিড রেল ট্র্যাক
যদিও অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে, এই ইস্তফার পিছনে কোনোরকম রহস্য নেই। তবে বিরোধীদের ধারাবাহিক অভিযোগ বিষয়টি রাজনৈতিক শোরগোল পাকাচ্ছে। একদিকে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা, অন্যদিকে রাজনৈতিক চাপ, কোনটা সত্যি তা বলে দেবে সময়।