প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আজ ২১ জুলাই। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের শেষ বড় সমাবেশ। গত একমাস ধরে বুথে বুথে প্রস্তুতি বৈঠক চালিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রত্যেকটা বুথ থেকে থেকে একটি করে বাস, মিনিবাস ও বিভিন্ন ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে শুধু পরিবহন ব্যবস্থা নয় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও দেদার করেছে শাসক দল তৃণমূল। সকালে এবং দুপুরে কর্মী সমর্থকদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রত্যেকটা বুথ এবং ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে। তবে এবার শুধু ডিম ভাত নয়, ছিল একাধিক রকমারি খাবার।
কর্মীদের খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে নজরদারি
প্রতিবছর এই ২১ জুলাইয়ের আয়োজনে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের জন্য ডিমের ঝোল আর ভাতের আয়োজন করে থাকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই যতই ঝড়, বৃষ্টি এবং গরম থাকুক না কেন, দূর-দূরান্ত থেকে দলনেত্রীর ভাষণ শুনতে আসে জোড়াফুল কর্মী-সমর্থকরা।
এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল অর্থাৎ রবিবার, সকালেই রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় শ্যাম গার্ডেনে আসেন রান্নার তদারকি করতে। এ বারের মেনুতেও ছিল ভাত এবং ডিম–আলুর তরকারি।
ছিল একাধিক পদ
জানা গিয়েছে আজকের সভাতে খাওয়ানোর জন্য তাই প্রায় ২০ হাজার লোকের থাকা–খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে এবার শুধু সমাবেশে ডিমভাত নয় ছিল আরও নানা খাবারের সম্ভার। সমর্থকদের মারফত জানা গিয়েছে আজ সকালে সকলের জন্য ছিল খিচুড়ি। কোথাও আবার ছোলা, ঘুগনি এবং মুড়ি দেওয়া হচ্ছে। তবে শিয়ালদায় ডিম, খিচুরি হলেও কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় চলছে বিরিয়ানি, মাংস-ভাতের ঢালাও আয়োজন। সকাল থেকেই চলছে সেইসব রান্না।
আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য জায়গায় করুন’, মমতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা নিয়ে বিস্ফোরক প্রধান বিচারপতি
দেদার বিলি হয়েছে প্যাকেট
বসে খাওয়ার বন্দোবস্ত ছাড়াও দেদার চলছে প্যাকেট বিলি। যার ফলে অনেকেই কাজের ফাঁকে আবার কেউ কলকাতার রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে চলেছে। কেশপুর থেক এসেছেন উত্তম কুমার দাস। তিনি বলেন, টিফিনে ছিল ছোলা, ঘুঘনি, মুড়ি। রান্না চলছে মুরগির মাংস। আর আছে আলুসিদ্ধ, ভাত, আলু-পোস্ত। এককথায় বলতে গেলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের শেষ ২১ জুলাইয়ে সকলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন ঢালাও আয়োজন করেছে।