‘শুধু টাকা আর টাকা!’ শুল্ক দিয়েই মুকুব হবে আমেরিকার ঋণ, জানেন ট্রাম্পের মাস্টারপ্ল্যান?

Donald Trump

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমানে আলোচনার শিরোনামে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। নেপথ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর তাঁর চাপানো শুল্ক। আর এই অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে তিনি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এটাই হওয়া উচিত ছিল বহু আগে। এবার আমেরিকার হাতেই আসবে বিপুল পরিমাণে অর্থ। আর অন্য দেশগুলি ধুঁকবে। পাশাপাশি এই শুল্ক দিয়ে নিজেদের দেশের ঋণ কমাতে চাইছে ট্রাম্প।

ট্যারিফ কীভাবে শোধ করবে আমেরিকার ঋণ?

ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির উপর যে শুল্ক ধার্য করা হচ্ছে, সেখান থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা আসবে, তা সরাসরি জাতীয় ঋণ শোধ করতে কাজে লাগানো হবে। তিনি বলেছেন, আমরা প্রচুর পরিমাণে অর্থ পাচ্ছি। আর আমাদের দেশ এই ট্যারিফ থেকেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার উপার্জন করবে। এত টাকা আগে কখনো আসেনি। এটা করলে অনেক আগেই দেশের ঋণ মুকুব হয়ে যেত।

কোন দেশ থেকে কত শুল্ক?

ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি অনুসারে, এবার 59টি দেশের উপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল ব্রাজিলের উপর 50%, সিরিয়ার উপর 41%, সুইজারল্যান্ডের উপর 39%, কানাডার উপর 35%, ভারতের উপর 25%, তাইওয়ানের উপর 20%। অন্যদিকে পাকিস্তানের উপর 29% থেকে শুল্ক কমিয়ে 19% করা হয়েছে।

ট্রাম্পের কথায়, এই শুল্ক মূলত ফেয়ারনেস নিশ্চিত করার জন্যই আরোপ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি কাউকে চাপে ফেলতে চাইছি না। শুধুমাত্র চাই ন্যায্যতা। সবাই যেন সমান ভাবে বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করতে পারে, আর দেশের সামগ্রিক উন্নতি হয়।

আরও পড়ুনঃ দৈনিক ৪১১ টাকা জমিয়ে ১৫ বছরে ৪৩.৬০ লক্ষ রিটার্ন! ধামাকাদার স্কিম পোস্ট অফিসের

তিনি আরও বলেছেন, প্রথম প্রেসিডেন্সি চলাকালীন তিনি চিনকে নিয়ে শুল্ক আরোপ করেছিলেন ঠিকই, তবে তখন করোনার প্রকোপে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে একই নীতি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তাই দ্বিতীয় দফার আগেই তিনি বড়সড় পদক্ষেপের পথে হাঁটছে। উল্লেখ্য, 1977 সালের এক আইন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি। এই কারণে এই শুল্কই আমেরিকার অর্থনীতির ভারসাম্যের মূল চাবিকাঠি।

Leave a Comment