শুধু বাংলার সীমান্তেই বেড়া দেওয়া বাকি, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে কড়া জবাব অমিত শাহের

Amit Shah

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০২৫ এর বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে SIR প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ সমানে দোষ দিয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। এবার সেই একই চিত্র দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেখানে ভুয়ো ভোটার তাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন, সেখানে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই আবহে বুধবার লোকসভায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে আলোচনায় অনুপ্রবেশ প্রশ্নে তৃণমূলকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

তৃণমূলকে শাসালেন অমিত শাহ

বুধবার লোকসভায় অমিত শাহ বলেন, “ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ। কিন্তু ৫৬৩ কিলোমিটার এখনও বাকি। রিপোর্ট বলছে অসম, ত্রিপুরায় কাজ শেষ। শুধু এখন বাকি বাংলা।” এছাড়াও তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত পার হয়ে প্রথমে কোনও গ্রামে আশ্রয় নেয়। এর পর সেই ব্যক্তিকে আধার-সহ অন্য পরিচয়পত্র তৈরি করে দেওয়া হয়। তাহলে কি এর কোনও দায় নেই রাজ্যের?” আসলে এই কাজ দেশের ভবিষ্যৎ ও সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে বলে সরব হন শাহ।

বাংলা থেকে মুছে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস!

অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক অভিযোগ করছে সেই সময় এই নিয়ে লোকসভায় দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বড় হুঁশিয়ারি দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের পাশে থাকলে বাংলা থেকে মুছে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। ঠিক যে ভাবে ‘অনুপ্রবেশকারী বাঁচাও যাত্রা’ করতে গিয়ে বিহার থেকে সাফ হয়ে গিয়েছেন রাহুল গান্ধীর দল।’’ অর্থাৎ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে শুধু অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই কটাক্ষ থাকেননি শাহ তার সঙ্গে SIR বিরোধিতা করা নিতে তৃণমূলকে রাজ্য ছাড়া করার দাবিও তোলেন। তবে এই হুঁশিয়ারি এবং দাবি নিয়ে চুপ থাকেনি তৃণমূল, পাল্টা অভিযোগ তোলেন তাঁরাও।

আরও পড়ুন: গীতাপাঠের ময়দানে চিকেন প্যাটিস বিক্রি! বিক্রেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ২ আইনজীবির

অমিত শাহের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন যে, ‘কেউ অনুপ্রবেশকারী নয়, সবাই শরণার্থী। সেই ১৯৪৬ সাল থেকে এ রাজ্যে শরণার্থী এসেছেন এবং আসছেন। এমনকি বাংলার সীমান্ত এখনও যে কাঁটাতারহীন তার সম্পূর্ণ দায় কেন্দ্রের। আর কিছুদিন আগেই তো দেখলাম। ওপার থেকে আসা লোকজন বলছেন, দালাল ধরে এসেছি। এই সব টাকা তো ওদের পকেটেই যায়।’ যার দিলে তুমুল সরকল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক অন্দরে।

Leave a Comment