প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কোচবিহারে ধুন্ধুমার কাণ্ড! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। এ দিন কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচি ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় বড় বিপত্তি। জানা গিয়েছে, ইট দিয়ে শুভেন্দুর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যার জেরে সেই গাড়ির কাচও ভেঙে যায়। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনও অবধি পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি কী?
সংবাদমাধ্যম ANI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই কোচবিহারে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর কনভয় বেলা ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ খাগড়াবাড়ি চৌপতিতে পৌঁছোতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ওই এলাকায় তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিয়ে বেশ কয়েক জনের জমায়েত দেখা যায়। এছাড়াও কারও কারও হাতে কালো পতাকাও দেখা যায়। যখনই শুভেন্দুর কনভয় খাগড়াবাড়ি চৌপতিতে পৌঁছোয় তখনই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শুভেন্দুর দিকে ধেয়ে আসে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও। তখনই ওই জমায়েত থেকে নাকি শুভেন্দুর গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয়।
ভাইরাল সেই ভিডিও
ANI এর ভাইরাল ভিডিওতে এও দেখা গিয়েছে যে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই শাসকদলের পতাকার লাঠি দিয়ে শুভেন্দুর গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলেছে। তবে এই হামলার ঘটনায় কেউ আহত হয়েছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। এই অশান্তির পরিবেশ থেকে কোনক্রমে সেখান থেকে শুভেন্দুর গাড়ি বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং কোচবিহারে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে তাঁকে নিয়ে আসা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম শুরু হয় কোচবিহার খাগড়াবাড়িতে। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনগণকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তোলে বিরোধী দল বিজেপি। এদিকে আজ কোচবিহারের ১৯ জায়গায় ভাষা আন্দোলনের অবস্থান-বিক্ষোভের কর্মসূচি ছিল। কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতেও চলছিল বিক্ষোভ। আর সেখানেই শুভেন্দুর কনভয় ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের বাংলায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, খুলতে পারে মেট্রোর নতুন রুট
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে আঙুল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি সকলেই জানেন। জেলার প্রায় ২০টি জায়গার সঙ্গে খাগড়াবাড়িতেও শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলছিল। সেখানে শুভেন্দুর গাড়ি গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। বিরোধী পক্ষকে উত্তেজিত করা তাঁর টার্গেট ছিল। গাড়ির পিছন থেকে লাঠি বের করে আমাদের লোকেদের উপর হামলার চেষ্টা করে। তাঁর কনভয়ে থাকা লোকেরা এই সব ঘটানোর চেষ্টা করায় ২ মিনিটের জন্য একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তবে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কনভয় বেরও করে দেয়।’