বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: রাশিয়া থেকে তেল কেনার অপরাধে ভারতের উপর 50 শতাংশের শুল্ক চাপিয়ে বীরত্ব দেখিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই সিদ্ধান্তের পরই এবার নাকি চড়া শুল্ককে সামনে রেখে ভারত থেকে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করতে পারে অ্যামাজন!
জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থাটির পথেই হাঁটতে পারে ওয়ালমার্ট, টার্গেট, গ্যাপের মতো আরও কিছু সংস্থা, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে NDTV সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এর জেরে রপ্তানি করা বস্ত্রে কোপ পড়বে!
কোপ পড়েছে বস্ত্র রপ্তানিতে!
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 50 শতাংশ শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এবার চাপে ফেলেছে ভারতীয় বস্ত্র রপ্তানিকে। আসলে, চড়া শুল্কের কারণে ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া বিভিন্ন বস্ত্রের উপর 63.9 শতাংশ ও 60.3 শতাংশ শুল্ক বসবে বলেই খবর।
বলা বাহুল্য, আমেরিকার বাজারে জামা কাপড় অর্থাৎ বস্ত্রের বেশিরভাগটাই যোগান দেয় ভারত। ফলত, ভারত থেকে আমদানি করে নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন বস্ত্রের উপর এবার থেকে চড়া শুল্ক চাপানো হলে আমেরিকার বাজারে তা কার্যত আকাশ ছোঁয়া দামে বিক্রি হবে। আর তাতে আমেরিকার নাগরিকরা সেইসব বস্ত্র আদৌ কিনবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
শুধু তাই নয়, ট্রাম্প 50 শতাংশ শুল্ক চাপানোয়ে আমেরিকায় বস্ত্র পাঠাতে চাইছেন না বহু দেশীয় রপ্তানিকারক। আর এইসব ঘটনাকে সামনে রেখে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর কারণে এবার এদেশ থেকে বস্ত্র আমদানি বন্ধ করছে ই-কমার্স সংস্থাগুলি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কারণ হিসেবে ওই সংস্থাগুলি স্পষ্ট জানিয়েছে, ভারত থেকে আমদানির ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ শুল্ক বসবে! মূলত সে কারণেই আমেরিকার বাজারে ভারতীয় পণ্যের দাম এক ধাক্কায় 35 শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। যদিও সরকারিভাবে কোনও সংস্থাই এখনও পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি বন্ধ করার কথা জানায়নি।
অবশ্যই পড়ুন: আর রাজস্থানে থাকতে চান না সঞ্জু স্যামসন! KKR নাকি CSK, কী হবে পরবর্তী গন্তব্য?
উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে তেল কেনাকে কারণ বানিয়ে ভারতের উপর প্রথমে 25 শতাংশ এবং পরে আরও 25 শতাংশ মিলিয়ে মোট 50 শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও আমেরিকার এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এমন ঘটনা সত্যিই অন্যায্য এবং অযৌক্তিক। জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তা রক্ষার্থে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।