বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। ওপারে বেড়েছে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। জনসমক্ষে দীপু দাস নামক এক হিন্দু যুবককে জলজ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে বাংলাদেশের একদল কট্টরপন্থী। এবার সেই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বুধবার সকালে বাংলাদেশগামী বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক উত্তরবঙ্গের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের (Protest In India Bangladesh Border) কাছে আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের একদল সদস্যের বিরুদ্ধে। যেই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধ না হলে রপ্তানি হবে না!
উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে একত্রিত হন এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। হাতে ভারতের পতাকা নিয়ে এদিন এদেশ থেকে বাংলাদেশগামী পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধ না হলে ভারত থেকে কোনও রকম পণ্য রপ্তানি হবে না।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বুধবার সকালের দিকে ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের কাছে বাংলাদেশগামী পণ্যবাহী লড়ির লাইন পড়েছিল। সেই চেকপোষ্টের কাছে পৌঁছে আচমকা, হাতে ভারতীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকজন যুবক এবং মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি। তাঁদের দাবি ছিল, দীপু দাস একজন হিন্দু যুবক বলেই তাঁকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তাঁর নিন্দা জানাই এবং যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত তাদের সকলকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
অবশ্যই পড়ুন: বিজয় হাজারের প্রথম দিনেই দুরন্ত সেঞ্চুরি রোহিত-কোহলির, শিক্ষা পেল BCCI?
এদিন সকাল থেকেই ফুলবাড়ি চেকপোস্টের সামনে জড়ো হয়ে বাংলাদেশগামী গাড়িগুলির উপরে উঠে স্লোগান দিতে থাকেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। সূত্রের খবর, গাড়ির চালকদেরও নাকি গাড়ি রেখে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের একেবারে স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভারত থেকে কোনও রকম পণ্য ও দেশে রপ্তানি হতে দেবেন না তারা।
অবশ্যই পড়ুন: সাফ জিতে এসে আবারও সাফল্য, এবার উইমেন্স লিগে সেতু এফসিকে গুঁড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল
গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। এদিকে ভারত বাংলাদেশের ফুলবাড়ি চেকপোস্টে উত্তেজনার খবর পেতেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন তারা। তবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের সাফ জবাব, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সূত্রের খবর, পরবর্তীতে পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হলেও আন্দোলনের জের ধাক্কা খেয়েছে ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে সীমান্তের আমদানি-রপ্তানি।