বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চাপে পড়ে গিয়েছে আমেরিকা! সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন তিনি 6 মাসে 6টি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। আসলে নিজেদের শান্তির আহ্বানকারী হিসেবে দাবি করে গোটা বিশ্বে কর্তৃত্ব ফলানোর নেশায় মত্ত ওয়াশিংটন ডিসি!
তবে রিপোর্ট বলছে, আমেরিকা যখন যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানাচ্ছে সেই পর্বে আমেরিকার বিরুদ্ধে দুটি নতুন ফ্রন্ট উন্মোচিত হয়েছে। একদিকে লাতিন আমেরিকায়, ভেনেজুয়েলা তার 4.5 মিলিয়া সদস্যকে সক্রিয় করেছে। একই সাথে দেশটি জানিয়েছে যে, কোনও সাম্রাজ্য ভেনিজুয়েলার পবিত্র মাটি স্পর্শ করতে পারবে না।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে যুদ্ধের প্রস্তুতি বলে অভিহিত করে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছেন। এমতাবস্থায়, কার্যত সবদিক থেকেই চাপে পড়ে গেল আমেরিকা! প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি যুদ্ধ থামাতে গিয়ে নিজেই যুদ্ধ ডাকছে আমেরিকা?
ভেনেজুয়েলার বড় ঘোষণা
আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সোমবার ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো একটি বড়সড় ঘোষণা দিয়েছেন। এদিন দেশটির রাষ্ট্রনেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, গোটা ভেনেজুয়েলা জুড়ে 4.5 মিলিয়ন মালিশিয়া মোতায়েন করা হবে।
তাঁর স্পষ্ট দাবি ছিল, কোনও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ভেনেজুয়েলার পবিত্র ভূমি স্পর্শ করতে পারবে না। বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকা মাদুরোর বিরুদ্ধে পুরস্কার বৃদ্ধি এবং ভেনেজুয়েলার সীমান্তে নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠানোর খবরের পরই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি।
বলা.বাহুল্য, গত সপ্তাহে আমেরিকা ভেনেজুয়েলার সমুদ্র অঞ্চলের কাছে তিনটি নৌ ধ্বংসকারী জাহাজ এবং 4,000 সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাবি করে, তারা বর্তমানে ওই অঞ্চলে কোনও জাহাজ মোতায়েন করছে না। এরপরই ভেনেজুয়েলা আমেরিকার এই পদক্ষেপগুলিকে হুমকি এবং মানহানির প্রতিষ্ঠা বলেই অভিহিত করে।
অবশ্যই পড়ুন: গুজরাতে স্কুলের মধ্যেই ছাত্রকে কুপিয়ে খুন আরেক পড়ুয়ার! গ্রেফতার নাবালক
আমেরিকার উপর ক্ষিপ্ত উত্তর কোরিয়াও!
সম্প্রতি, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহারাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়াকে যুদ্ধের প্রস্তুতি বলে অভিহিত করে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন কিম।
তাঁর মতে, এমন পরিস্থিতিকে শান্ত করার একমাত্র উপায় হল পারমাণবিক অস্ত্র। বলে রাখি, উত্তর কোরিয়া বিশ্বের 9টি দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ যাদের কাছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। এবার সেই পরমাণুর জুজু দেখিয়েই আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চাইছে কিম জং উনের দেশ! আর এমন ঘটনা কিছুটা হলেও যে ট্রাম্পের মাথা ব্যাথার কারণ হয়েছে, তা বলাই যায়।