প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সংবিধান দিবসে কেন্দ্রকে ফের ধিক্কার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সংসদে নাকি জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম বলা যাবে না এই প্রসঙ্গ তুলে মোদি সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি মমতার। জানা গিয়েছে বুধবার সংবিধান দিবসে বাবা সাহেব আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র এবং বিজেপিকে ধিক্কার জানিয়ে ফের গণতন্ত্র রক্ষার ডাক দিলেন। সঙ্গে তুলে ধরলেন SIR বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ।
আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান মুখ্যমন্ত্রীর
রিপোর্ট মোতাবেক সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রেড রোডে ডাঃ আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই একেবারে সংবিধান হাতে নিয়ে একাধিক ইস্যুতে একযোগে কমিশন এবং বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজকে একটি সংবাদ পত্রে দেখলাম সংসদে নাকি জয়হিন্দ, বন্দে মাতরম বলা যাবে না। জানি না এই খবর কতটা সত্য-মিথ্যা তবে খোঁজ নেব। বন্দে মাতরম তো জাতীয় সঙ্গীত। তাহলে কি এবার কেন্দ্র বাংলার আইডেনটিটি নষ্ট করতে চাইছে? ক্ষমতায় আছে বলে বিজেপি ভাবছে যা খুশি করবে, তা আমরা বরদাস্ত করব না। মনে রাখবেন আমরা শুধু বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গাইডলাইন মেনে চলব। বিজেপির গাইডলাইনে নয়।”
SIR নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এসআইআরের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে একের পর এক বিএলওর মৃত্যু হয়েছে। বিএলওদের দাবিকে আমি ন্যায্য এবং সংযত বলে মনে করি। শুধু তাই নয়, যাঁরা বছরের পর বছর দেশের মাটিকে লালন-পালন করেছেন, আজকে তাঁদের কাছে দেশে থাকার প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে। নাগরিক অধিকারের নাম করে মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে।” এদিন গতকাল ঠাকুরনগর থেকে ফেরার পথে যে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “যারা এটা নিয়ে রাজনীতি করছে তারা দেশের পক্ষে লজ্জা। এদের ধিক্কার জানাই।”
আরও পড়ুন: বাংলা দখল নয়! বিজেপি যা করতে চায়, জানালেন শুভেন্দু
সংবিধান দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে ‘বাবুমশাই’ সম্বোধন করেন এবং বলেন, “বিএলওদের ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন, বলছেন, চাকরি খেয়ে নেবেন! বিএলওরা আজকে মারা যাচ্ছে। সার্ভার কাজ করছে না, তাঁরা আপলোড করতে পারছে না। আমরা এজন্যই বলেছিলাম, তাড়াহুড়ো না করে সময় করে কাজটা করুন। তা না করে গায়ের জোরে এসআইআর এর নাম করে পিছনের দরজা দিয়ে বাংলা দখলের চেষ্টা হচ্ছে।”