সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে (Jhansi) ঘটল এক চমক দেওয়া ঘটনা। ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় ঋণ নেওয়া ব্যাক্তির স্ত্রীকেই জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে 5 ঘন্টা ব্যাঙ্কে আটকে রাখল ওই ব্যাঙ্কের কর্মীরা। অভিযোগ উঠছে, পুলিশের হস্তক্ষেপ নেওয়া না হলে হয়তো এই অপহরণের ঘটনার সামনেই আসত না।
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঝাঁসির মন্থা থানার অধীনস্থ আজাদ নগর এলাকার এক বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। অভিযোগকারী রবিশংকর বর্মা জানিয়েছেন যে, গত সোমবার অর্থাৎ 28 জুলাই দুপুর 12টা নাগাদ তার স্ত্রী পূজা বর্মাকে জোর করে ওই ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিকেল 5টা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়।
কিস্তি না দিলে ছাড়ব না, হুমকি ব্যাঙ্কের
রবিশংকর জানিয়েছেন, আমি কিছুটা আর্থিক অসুবিধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তাই এবারের ঋণের কিস্তিটা জমা দিতে পারিনি। অথচ আমার স্ত্রীকে ওরা তুলে নিয়ে গিয়ে বলেছে, কিস্তির টাকা না দিলে ছাড়বে না। তিনি বারবার অনুরোধ করেন তাঁর স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ব্যাঙ্কের দুই কর্মী কৌশল এবং ধর্মেন্দ্র রাজি হয়নি।
অসহায় অবস্থায় পড়ে রবিশংকর পুলিশকে ফোন করে। 112 নম্বর ডায়াল করতেই প্রভিডেন্ট রেসপন্স ভেহিকেল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আর তখনই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। হ্যাঁ, ব্যাঙ্কের কর্মীরা পুলিশের আগমনের খবর পেয়েই পূজা বর্মাকে ছেড়ে যায়।
#Jhansi में प्राइवेट बैंक की दबंगई,किश्त दो पत्नी ले जाओ!
लोन की किश्त न चुकाने के आरोप में महिला को बंधक बनाए रखा
किश्त न चुकाने के आरोप में बैंक कर्मचारियों ने बैंक में रखा
पुलिस की पहुंचने तक उसे छोड़ने से इंकार किया
महिला के पति ने डायल 112 पर सूचना दी
पुलिस ने मौके पर… pic.twitter.com/9QW1gDhWso
— News1India (@News1IndiaTweet) July 30, 2025
এরপর পূজা বর্মা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি 40 হাজার টাকার একটি পার্সোনাল লোন নিয়েছিলেন, যার মাসিক কিস্তি দাঁড়িয়েছিল 2120 টাকা। তিনি মোট 11টি কিস্তি জমা দিলেও ব্যাঙ্কের রেকর্ডে মাত্র 8টি কিস্তি রয়েছে। তার দাবি, ব্যাঙ্কের ওই দুই এজেন্ট কৌশল এবং ধর্মেন্দ্র তাদের টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং কিস্তি আপডেট করেনি।
পূজা অভিযোগ করেছে, সোমবার সকালে মধ্যপ্রদেশের টিকমগড় জেলার বাসিন্দা ব্যাঙ্কের কালেকশন অফিসার সঞ্জয় যাদব তাদের বাড়ি এসে কিস্তি দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। তবে কিস্তির টাকা দিতে অস্বীকার করলেই তিনি পূজা দেবীকে জোর করে ব্যাঙ্কে নিয়ে যান এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে বসিয়ে রাখেন।
আরও পড়ুনঃ মাত্র ১৫ বছরেই কঙ্কালসার চেহারা! ভেঙে ফেলা হবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর ওই ব্যাঙ্ক শাখার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, আর এরকম অনৈতিক আচরণের আসল কারণ জানতে পারলে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নেবে বলেই জানানো হয়েছে।